রংপুরে ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেফতার


রংপুরের পীরগন্জে যাত্রীবেশে বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পীরগন্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার ১৬-জানুয়ারি পীরগন্জ থানা চত্বরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা।
তিনি জানান, সোমবার ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ এবং গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৬টি ধারালো চাকু, ৩টি স্মার্ট ফোন এবং ৫টি বাটন ফোন সহ লুষ্ঠিত স্বর্ণের সাদৃশ্য একজোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি জানান, গত ১২- জানুয়ারি রাত নয়টার দিকে গাজীপুর জেলার চান্দুরা বাসস্ট্যান্ডে হামীম পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী ছদ্মবেশে একদল ডাকাত বাসটিতে ওঠে। এরপর রাত একটার দিকে বগুড়া জেলার শেরপুর ফুড ভিলেজে যাত্রা বিরতির সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ, মেহেদী, মোহাম্মদ আলী এবং শাহজাহান আলীসহ তাদের সহযোগী আরও চারজন, প্রত্যেকে একটি করে ধারালো চাকু নিজ হেফাজতে রাখে এবং তারা ডাকাতির সুযোগ খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পীরগঞ্জ থানাধীন লালদিঘী ওভার ব্রিজ পার হয়ে ডাকাত দলের সদস্যারা বাসের ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজারসহ বাস যাত্রীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে এবং বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ডাকাতরা ধারালো চাকুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৮টি স্মার্ট ফোন, বাটন ফোন ৮/১০ টি, নগদ ৪২ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনায় সোমবার (১৫-জানুয়ারি) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হলে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালায়। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য পীরগঞ্জ উপজেলার আগাচতরা গ্রামের ফিরোজ মিয়া (২৮), জয়পুর গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫), বড় আলমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৩৮), বড় গোপীনাথপুর গ্রামের শাহজাহান আলী (৩০) এবং ডাকাতির ঘটনায় লুষ্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়কারী চতরা গ্রামের মনোয়ার হোসেন মজিনকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে বলে তিনি জানান।
