রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষ হিমশীতল বাতাস, ঘনকুয়াশা আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন । এক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। গোটা দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় ফুলবাড়ীতে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সুস্থ থাকতে বয়স্ক ও শিশুদের রোদ না ওঠা পর্যন্ত ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা যায়, তীব্র শীতে শীতজনিতবিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তবে দিনের মাপমাত্রা থাকছে কিছুটা কম। ঘনকুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
চিকিৎসক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হচ্ছেন মানুষজন। এদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুরাই থাকছেন বেশি।
উপজেলা মিরপুর গ্রামের সেকেন্দার আলী বলেন, কয়দিনের শীতে তার চার বছর বয়সী ছেলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার। দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের বৃদ্ধ রহমত আলী বলেন, শীতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় দু-তিন দিন পরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে গ্যাস নিয়ে নেন। এতে তিনি সুস্থ থাকেন, তেমন কোনো সমস্যা হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের সকাল ও রাতে ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো। তারা রোদের সময় বের হতে পারেন। সব ধরনের ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। খাবার স্যালাইন সঠিক পরিমাপে তৈরি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রোগীসহ তাদের লোকজনকে। তবে শীতের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী বাড়ছে নিত্যদিন। জরুরি বিভাগসহ সব পর্যায়ে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদসহ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রোগী বাড়লেও নিরলসভাবে সকলকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
