অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটে মাদ্রাসার সুপার


পঞ্চগড় বোদা উপজেলা চন্দন বাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সমন্বয় প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করছে। সরকারি নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধা আংগুলি দেখিয়ে বিশাল আকৃতির ইউক্যালিপটাস গাছটি কেটে ফেলেন তারা। গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সরজমিনে দেখা যায়, স্বদলবলে গাছ কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে।
মো: সামিউল ইসলাম, (ইউপি) সদস্য চন্দন বাড়ি, বোদা,পঞ্চগড়। এবং মো: আনোয়ার হোসেন, পিতা: মো:আব্দুল কাশেম, সহ আরো নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যাক্তিরা জানান, চন্দন বাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো: ইসমাইল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো:গোলাম ফারুক, কুড়ালি পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এবং ( আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, বোদা, উপজেলা শাখা ) দুজনে গোপন আঁতাত করে প্রকাশ্য দিবালোকে বহিরাগত লোক লাগিয়ে গাছ কাটা'সহ পূর্বের নিয়োগ বানিজ্যের অর্থ ভাগ বাটোয়ারার অভিযোগ করেন। তারা বলেন, প্রশাসনের ঢিলেঢালা অবস্থানের কারণে মাদ্রাসার সুপার ও প্রতাপশালী সেই সভাপতির দাপটের কাছে গ্রামবাসী বড়ই আসহায় হয়ে পড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিরা আরো জানান, যে মাদ্রাসার সুপার নিয়োগ বানিজ্য সহ লুটপাট, ভাগাভাগি, অন্যান্য সুবিধা নেওয়ার জন্য মো:গোলাম ফারুক সুবিধাবাদীকে সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন।
আইন অমান্য করে যেখানে অন্য প্রতিষ্ঠান এর 'সহকারী শিক্ষক' হয়ে আরেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চন্দন বাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হয় তা স্থানীয়দের বোধগম্য নয় বলে জানান।
গাছ কাটা সহ এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মো: ইসমাইল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, গাছটি ঝড়ের কবলে ডাল ভাংলে সভাপতি কে জানিয়ে গাছটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়, যেটা পাশের হেফজো খানায় খারচ করা হবে। আর রেজুলেশনে বিষয়ে বলেন, সবার সাক্ষর নেওয়া হবে আজকে।
একাধিক ব্যাক্তিরা বলে, আরও ৪০ টি গাছের স্বল্প মূল্য নির্ধারণ করে দিনাজপুর বন অধিদপ্তরে অনুমোদন নিয়ে নেওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ চলমান ,
যেটা বিগত বছরগুলোতে সুপার এবং সভাপতি নিজস্ব ছেলেপেলে দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে। অন্য কোন গাছ ব্যাবসায়ীদের ভেতর প্রবেশ করতে না দিয়ে নিজেরাই, স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে। যা পরবর্তীতে বিশাল মূল্যে অন্যত্র বিক্রয় করে সুপার, সভাপতি অর্থ ভাগাভাগি করেন।
ইউপি সদস্য মো: সামিউল ইসলাম বলেন, অনিয়ম এখন নিয়মে পরিনত করে রাখছে এই দুজন ব্যক্তি।
