বিএনপির নেতাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে মামলা


ভাটারা থানা বিএনপির নেতা আজাদ ভূঁইয়া। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বিভিন্ন মামলা-হামলার শিকার হয়েও দলীয় মিছিল-মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। হাসিনার সরকারের শাসনামলে ঘর ছাড়া থাকতে হয়েছে তাকে। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গিয়েও হয়েছেন বহুবার হয়রানির শিকার। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারনে ভোলা থেকে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন আজাদ ভূঁইয়া। তার গ্রামের বাড়ীতেও একাধিকবার হামলা করেছেন তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতারা। এছাড়াও প্রতিদিন স্বৈরাচার আওয়ামী পুলিশরা তাকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন।
৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর সারাদেশে ভূয়া মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ ও স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দেয় একটি সিন্ডিকেট। এসব লোকজনকে মামলার আসামী করে টাকা বাণিজ্য করেন এই মামলাবাজ সিন্ডিকেটটি। ঠিক একইভাবে খিলগাঁও থানায় একটি মামলায় বিএনপির কর্মী আজাদ ভূঁইয়াকে আওয়ামী যুবলীগের নেতা দেখিয়ে আসামী করেন এই মামলাবাজ সিন্ডিকেট সদস্যরা।
জানা গেছে, এ মামলায় খিলগাঁও থানা পুলিশ তদন্ত করছে। আজাদ ভূঁইয়াকে খিলগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার না করলে রাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তার বেআইনী চাপে ভাটারা থানা পুলিশ তাকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেন। সে সময় ভাটারা থানা ওসির কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আজাদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করতে চাইনি। গোয়েন্দা সংস্থার দুইজন সদস্য এসে আমাদেরকে জোর-জবরদস্তি করে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য করেছে। আমরা খিলগাঁও থানার সাথে যোগাযোগ করে আজাদকে তাদের কাছে হস্তান্তর করবো, এরপর সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আদালতে প্রেরণ করবে।
আজাদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের বিষয়ে ভাটারা থানা বিএনপির সভাপতি বলেন, আজাদ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি করার কারণে নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছে। একাধিকবার হামলার শিকার হতে হয়েছে। আজ তাকে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে আজাদ ভূঁইয়ার অতিদ্রুত মুক্তি দাবী করছি। আশা করবো, সংশ্লিষ্ট আদালত তাঁকে দ্রুত জামিন দিবেন।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
