নরসিংদীতে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ


নরসিংদীর মাধবদী থানার পাঁচদোনা এলাকায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে দুইদিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শনিবার (৮ মার্চ) রাতে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম।
পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি হলেন ইকবাল হোসেন (৪৩), পাঁচদোনা ইউনিয়নের আসমান্দীচর এলাকার জয়নালের ছেলে। মামলার অপর প্রধান আসামি পাপ্পু মিয়া (২৯), একই এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে পাঁচদোনার একটি সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তিনি জানান, তার স্বামী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় জেলহাজতে ছিলেন। সেই সুযোগে ইকবাল হোসেন নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে স্বামীকে মুক্ত করার আশ্বাস দেন।
এরপর তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে আরও চারজন মিলে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে। পরে তাকে একটি সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে গিয়ে তিনদিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী ভগিরথপুর এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। স্বামী জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর তিনি তাকে পুরো ঘটনা জানান। এরপরই তারা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার রাতে মাধবদী থানায় হাজির হয়ে পুলিশের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এরপর রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরই আমরা অভিযানে নেমেছি। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আমরা দ্রুত বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনবো।
নতুন/কাগজ/সালাহউদ্দিন/নরসিংদী
