৫০ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের আশা


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে চার হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিতও হয়ে গেছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন। তবে গত বছরের চেয়ে ২৩০ হেক্টর বেশি জমিতে এ বছর ভুট্টা আবাদ হচ্ছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত বছরগুলোতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমে কাবেরী ৫৪, এমকে ৪০, পালোয়ান, সুপার শাইন, কাবেরী ৪৪, সিনজেনটা ৭৭২০ সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। চাহিদার সাথে বাজার মূল্য বেশি ও অধিক লাভ হওয়ায় এবার বোরো ধানের জমিতেও আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক যোতিষ চন্দ্র রায় জানান, গত বছর ভুট্টার দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর ৪ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছেন। ভুট্টা বিক্রি ছাড়াও ভুট্টার গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যেসব জমিতে এক সময় বোরো চাষ করা হতো সেসব জমিতে কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষ করছেন।
উপজেলার চককবীর গ্রামের খবির শেখ জানায়, ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে উৎপাদন খরচ ও শ্রম কম লাগে এবং উৎপাদিত ভুট্টার দামও ভালো পাওয়ায় কৃষদের মাঝে ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ভুট্টা থেকে গবাদিপশুসহ মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন এবং গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি লাভজনক। এজন্য কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার ৮০০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে ৮০০বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এজন্য ৮০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
