ঈদগাহ মাঠের পাকা ছাদে নামাজ পড়েন


সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাথার প্রান্তরে একেবারে খোলা জায়গা। চারদিকে আবাদী মাঠ। এরই মাঝে তিন গ্রামের সীমানা এলাকায় পাকা ছাদের ঈদগাহ মাঠ। এটি বহু সংখ্যক পিলারের উপর দোতলা করে নির্মাণ করা হয়েছে। বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষের এটি ঈদের নামাজ পড়ার মাঠ।
উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বিশাল এলাকা জুড়ে তিন গ্রামের আবাদী মাঠ। প্রতি বছরই বর্ষাকালের শুরু থেকেই সাড়ে তিন থেকে মাস চারেক সময় পুরো মাঠ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে। নরসিংহপাড়া, শুকলাই ও শুকুল হাট গ্রামবাসীদের ঈদের নামাজ পড়তে পাকা ছাদের এ ঈদগাহ মাঠটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিন গ্রামের সীমানায় আরসিসি উচু পিলারের উপর ঢালাই দিয়ে পাকা ছাদের মাঠ বানানো হয়েছে।
এখানে বর্ষাকালে পাকা ছাদ মাঠে এক সাথে এক জামাতে প্রায় আড়াই হাজার মুসুল্লী নামাজ পড়তে পারবেন বলে জানা গেছে। আর শুকনো মৌসুমে নিচতলা ও দোতলা পাকা ছাদ মিলে প্রায় পাচ হাজার মুসুল্লী এক জামাতে ঈদ নামাজ পড়তে পারবেন বলে জানা গেছে। এটি ব্যারিস্টার রওশন-জাহান ফাউন্ডেশন ও তিন গ্রামবাসীদের টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিগত ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এটি নির্মাণে এ যাবত প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। বিগত ২০১৯ সাল থেকে ঈদগাহ মাঠটিতে ঈদের নামাজ পড়া হয়ে আসছে।
ঈদগাহ মাঠটি নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী হলেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও জ্যোতি প্রকাশথর প্রকাশক মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম। প্রতিবেদককে তিনি জানান ঈদগাহ মাঠটিতে এখন বর্ষাকালে ঈদ নামাজ পড়তে কোনো সমস্যা হয় না। সবাই আনন্দ মনে এখানে এসে নামাজ পড়েন। বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের বাসিন্দাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া এখানে তিন গ্রামের মৃতদের জানাযা নামাজ হয়।
নতুন/কাগজ/সাহারুল/সিরাজগঞ্জ
