বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

উল্লাপাড়ায় বরাদ্দের অভাবে আটকে আছে খাল সংস্কারের কাজ

উল্লাপাড়ায় বরাদ্দের অভাবে আটকে আছে খাল সংস্কারের কাজ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

* পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প নিজেই নোংরা পরিবেশে 
* সংস্কার অংশে জলাবদ্ধতা। ভরাট হয়ে যাচ্ছে 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পৌর শহরের খাল সংস্কার ও স্লোব প্রোটেকশন নির্মাণ কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে এর বাকি অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে। জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দে খালটির সংস্কার ও স্লোব প্রোটেকশন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু বরাদ্দের টাকার অভাবে বাকী কাজ আর সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এর ফলস্বরূপ, সংস্কার করা অংশে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা জমে যাচ্ছে, আর খালটি দিনে দিনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ উন্নয়নের এই প্রকল্প বর্তমানে নোংরা পরিবেশের মধ্যে আটকে পড়েছে।

উল্লাপাড়া পৌর শহরের মাঝের খালটি একসময় প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছিল এবং দুপাড়ের বাসিন্দারা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল। প্রায় ছয় বছর আগে পৌরসভা সরকারি জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে খালটির পুনঃসংস্কার কাজ শুরু করে। এরপর পৌরসভা প্রায় ৪৭৫ মিটার (অর্ধ কিলোমিটার) দীর্ঘ খালটির সংস্কার, দুপাড়ে পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য সড়কপথ এবং সহজ পারাপারের জন্য সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়।

পৌরসভা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় পৌর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নের জন্য ২০২১ সালে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় এবং মোট চারটি কিস্তিতে টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল, প্রতি কিস্তির পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের অনুমোদনের পর, একজন ঠিকাদারকে দিয়ে খালটির সংস্কার এবং দুপাড়ে স্লোব প্রোটেকশন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। খালটির প্রায় অর্ধেক অংশ সংস্কার এবং স্লোব প্রোটেকশন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তবে, খালের মাঝের একটি সড়কপথ নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। সড়কের রিং কালভার্টের তলা কিছুটা উঁচু করার কারণে পানি সহজে নিষ্কাশন হচ্ছে না, ফলে খালটির সংস্কৃত অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পলিথিন, নানা পণ্যের কার্টুন এবং অন্যান্য আবর্জনা ফেলায় খালটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে, এবং বর্তমানে এটি একটি আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

পৌরসভা প্রকৌশল বিভাগ জানায়, প্রকল্পের বাকি দুই কিস্তির টাকা বরাদ্দ হলে, একই ঠিকাদারের মাধ্যমে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া, অন্য একটি প্রকল্পে খালটির পানি নিষ্কাশন ও চলাচল সুবিধা বৃদ্ধির জন্য তিনটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে। যদি প্রকল্পটির অনুমোদন এবং বরাদ্দ পাওয়া যায়, তাহলে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌরসভা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, "গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির বাকি কাজ দুই কিস্তির টাকা বরাদ্দ পেলে সম্পন্ন করা হবে।"


নতুন/কাগজ/সাহারুল/সিরাজগঞ্জ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন