ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণায় জড়িত প্রদীপ মল্লিক


যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিদাস কাটি ইউনিয়নের পাঁচ কাটিয়া গ্রামের মৃত মাহিন্দ মল্লিকের ছেলে প্রদীপ মল্লিক দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের গা ঢাকা দেওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের হাতে অনেক নেতাও গ্রেফতার হয়েছে, তবে প্রদীপ মল্লিক এখনো প্রকাশ্যে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রদীপ মল্লিক, যিনি পেশাগতভাবে কোনো নির্দিষ্ট কাজ করেন না, তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে আদম ব্যবসা, প্রতারণা, জমি নিয়ে প্রতারণা, ঘের লুট এবং মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কাজে জড়িত। পাঁচ কাটিয়া ছাড়াও, তিনি দূর্বাডাংগা, শ্যামকুড়, খানপুর, নেহালপুর, মনোহরপুর ও কুলটিয়া ইউনিয়নে এসব অপরাধের সাথে যুক্ত।
প্রদীপ মল্লিক নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে গ্রামের সাধারণ মানুষকে জমি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এক ভুক্তভোগী, ভক্তি বিশ্বাস (৫২), তার পৈত্রিক জমি নিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। ভক্তি বিশ্বাস জানান, প্রদীপ মল্লিক তাকে জমির কাগজপত্র ঠিক করার জন্য প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়েছে, অথচ শেষ পর্যন্ত তাকে জমির মালিকানা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রদীপ মল্লিক আওয়ামী রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপনের ছত্র-ছায়ায় থাকলেও, পরবর্তীতে সাবেক এমপি এস এম ইয়াকুব আলীর আশ্রয়ে তার অপকর্মের বিস্তার ঘটেছে। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন যে, প্রদীপ মল্লিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে তিনি আবারও কোনো অসহায় ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করতে পারে।
প্রতারণা, জমি জবরদখল এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য দপ্তরে অনেক অভিযোগ জমা পড়লেও, প্রদীপ মল্লিক এখনো তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি করেছেন, প্রদীপ মল্লিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ তার শিকার না হয়।
নতুন/কাগজ/যশোর
