পৌনে তিন কোটি টাকার সেতু নির্মাণের কাজ দেড় বছরেও শুরু হয়নি


যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নে পাঁচ কাটিয়া গ্রামে সেতু নির্মাণের কাজ দেড় বছরেও শুরু হয়নি। প্রায় ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯২ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হতে যাওয়া এই সেতুর কাজ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বরাদ্দে অন্তর্ভুক্ত হলেও, আজও শুরু হয়নি কোনো কার্যক্রম।
এতে হরিদাসকাটি এবং কুলটিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, এই দুটি ইউনিয়নের মাঝখানে বয়ে যাওয়া নদী পারাপারের জন্য স্থানীয়দের ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
স্থানীয় পোলাডাঙ্গা গ্রামের ভ্যানচালক রাজু বিশ্বাস দৈনিক নতুন কাগজকে জানান, "ভ্যান নিয়ে নদী পার হতে খুব কষ্ট হয়। বর্ষাকালে রাস্তায় পানি উঠে যায়, এতে চলাচলে আরও সমস্যা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে আছে। দ্রুত সেতুর কাজ শেষ হলে আমাদের কষ্ট কমবে।"
একই গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ গাজী বলেন, "সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নদীর দুই পাড়ের মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হলে আমরা খুব খুশি হতাম, কারণ আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হতো। কিন্তু তাতে কিছু হয়নি, বরং ভোগান্তি আরও বেড়েছে।"
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাত থেকে আট বছর ধরে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কাজ আর শেষ হচ্ছে না। বর্তমানে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হোক যাতে তাদের ভোগান্তির অবসান ঘটে।
নদীপাড়ের বাসিন্দা সুদীপ দৈনিক নতুন কাগজকে বলেন, "আমাদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। জরুরি কাজে নদী পার হতে হলে, বর্ষাকালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। নৌকার জন্য অপেক্ষা করলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়, তাই কয়েক কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে যেতে হয়।"
স্থানীয় এলাকাবাসীও একই দাবি জানাচ্ছেন, যে দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু না হলে তাদের ভোগান্তি কখনোই শেষ হবে না। তারা দাবি জানিয়েছেন, সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু হোক এবং তাদের দুর্ভোগ শেষ হোক।
নতুন/কাগজ/দিপু/যশোর
