কৃষক লীগ নেতাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


পিরোজপুরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, বাড়িঘর ভাঙচুর, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার অভিযোগকারী বিএনপি নেতা মো. জহিরুল ইসলাম কলিম জানান, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে প্রচারে অংশ নিতে তিনি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের নিজ বাড়িতে গেলে হামলার শিকার হন।
তার দাবি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জেলা কৃষক লীগ সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি তার গাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাতে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেট-পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে খালে ফেলে দেয়। তারা তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে।
পরদিন, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে আরও বড় আকারে দ্বিতীয় দফা হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ৫০-৬০ জন হামলাকারী অস্ত্র, বোমা, কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে ব্যাপক গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—চান মিয়া মাঝি, নাসির উদ্দিন হাওলাদার, মুরাদ হোসেন মাঝি, হারুনুর রশিদ বাদশা, মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার রেশাদ মাঝি, লোকমান হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু, ও সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জন।
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা জহিরুল ইসলাম কলিমের স্ত্রী ও মায়ের গয়নাগাটি, মোবাইল ফোন লুট করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে হত্যা ও সন্তানকে অপহরণের হুমকিও দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে তিনি ২০২১ সালে পরিবার নিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন।
সাত বছর পর, ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন জহিরুল ইসলাম কলিম। মামলার নম্বর ০৪/৬২, ধারা ৩৪১/৩০৭/৪২৭/৩৮০/৩৮৫/৫০৬ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
