শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj
তীব্র খরার পর হঠাৎ বৃষ্টি

কটিয়াদীর কৃষকদের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি

কটিয়াদীর কৃষকদের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

দীর্ঘদিনের খরা ও তীব্র তাপপ্রবাহের পর হঠাৎ বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার কৃষি জমি। কৃষকরা জানিয়েছেন, এ বৃষ্টির ফলে যেমন ফসল বাঁচবে, তেমনি ব্যয় সাশ্রয়ও হবে—যা তাদের মুখে এনে দিয়েছে স্বস্তির হাসি।

কটিয়াদী উপজেলার ছোট-বড় হাওরগুলোতে বর্তমানে পুরোদমে চলছে বোরো ধানের আবাদ। তবে চলমান শুকনো মৌসুমে ছিল পানির চরম সংকট। জমিতে পানি সরবরাহ করতে কৃষকদের ব্যবহার করতে হচ্ছিল শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক পাম্প। অনেক কৃষককে দূর-দূরান্ত থেকে মেশিনের মাধ্যমে পানি এনে জমিতে দিতে হচ্ছিল, এতে বেড়েছিল উৎপাদন খরচ।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষকরা একটানা খরার মুখোমুখি ছিলেন। তীব্র তাপপ্রবাহে ফসলের মাঠগুলো শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছিল, ফলে কৃষকদের মধ্যে ছিল হতাশা ও উদ্বেগ।

কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, “পানি কিনে জমিতে দিতে হচ্ছিল। অনেক খরচ হচ্ছিল, কিন্তু ফলন নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। এই বৃষ্টিই আমাদের বাঁচিয়ে দিল।”

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে হঠাৎ শুরু হওয়া এ বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় গোটা উপজেলার ফসলি জমি। কোথাও দিনে, কোথাও রাতে থেমে থেমে কয়েক দফা বৃষ্টিতে মাটিতে ফিরে আসে সজীবতা। কৃষকরা জানান, পাট, বোরো ধান, ইরি ধান, শাকসবজি এবং মৌসুমি ফল—আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফসলের জন্য এ বৃষ্টি আশীর্বাদস্বরূপ।

এছাড়া বৃষ্টির ফলে শ্যালো মেশিন বা বৈদ্যুতিক পাম্পের প্রয়োজন না থাকায় কৃষকদের তেল ও বিদ্যুৎ খরচ বেঁচে যাচ্ছে। এতে শ্রমিক খরচও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, “এই বৃষ্টিতে কৃষকদের সেচ খরচ কমবে, পাশাপাশি ফসলের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ভালো হবে। এটি চলতি মৌসুমের জন্য খুবই ইতিবাচক।” তিনি আরও বলেন, “বৃষ্টির ফলে জমির উর্বরতাও বাড়বে এবং ভবিষ্যতের ফলন হবে আশানুরূপ।”

বছরের এই সময়টিতে এমন স্বস্তির বৃষ্টি কৃষকদের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে ফলন ভালো হবে এবং কৃষকের মুখে দীর্ঘ সময় পর ফিরে আসবে প্রকৃত হাসি।


নতুন/কাগজ/ছিদ্দিক/কটিয়াদী/কিশোরগঞ্জ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন