রংপুরে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: তিনজন গ্রেফতার, দুইজনের স্বীকারোক্তি


রংপুর মহানগরীর হারাগাছ এলাকায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় রংপুর মেট্রোপলিটন আমলী আদালত-১ এর বিচারক শোয়েবুর রহমানের কাছে শামীম হোসেন ও সিয়াম বাবু ওরফে বানিয়া বাবু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ শামীম ও আজম আলী-কে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পানির এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে এবং সিয়াম বাবু-কে রংপুরের ধুমেরকুঠি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি মমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝার হারেটকুঠি এলাকার আব্দুল মজিদের পুত্র শামীম হোসেন (২৩), রংপুর মহানগরীর হারাগাছের উদয় নারায়ণ মাছহারি এলাকার এজাহারুল ইসলামের পুত্র আজম আলী (১৯), ধুমেরকুঠি পশ্চিমপাড়ার মৃত মাহফুজুর রহমানের পুত্র সিয়াম বাবু ওরফে বানিয়া বাবু (২৬)।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, গত ৫ মার্চ দুপুরে ধুমেরকুঠি এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে তিন ব্যক্তি মিলে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে এবং তার সঙ্গে থাকা ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ফরিদপুরে।
প্রথমে শামীম সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভনে তাকে রংপুরে আসতে বলেন। স্বামীর কাছে থাকা গচ্ছিত টাকা নিয়ে ওই নারী সাহেবগঞ্জে আসেন। সেখান থেকে তাকে ধুমেরকুঠি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নিজে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় সংঘবদ্ধ নির্যাতনের মামলা করেন। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে শামীম ও সিয়াম বাবু আদালতে দায় স্বীকার করেছেন।
পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী আরও জানান, এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।
জহুরুল ইসলাম, রংপুর
