প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যায় তিনজন গ্রেপ্তার


রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
আল কামাল শেখ (১৯), খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা, আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা, আল আমিন সানি (১৯), জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একেএম মইন উদ্দিন জানান, রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মহাখালী ওয়ারলেস গেইট এলাকাসহ আশেপাশে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একেএম মইন উদ্দিন বলেন, আমরা রাতভর অভিযানে ছিলাম। তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরের দিকে আদালতে তোলা হবে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং তারা এতে জড়িত বলে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান হয়। তারা মামলার এজাহারভু্ক্ত আসামি।
নিহত শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র। ২৩ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থীর বাড়ি ময়মনসিংহে।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকালে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে নিহত জাহিদুল প্রাইম এশিয়ার গলিতে চা সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। ওই সময় সেখানে তিনজন মেয়েও ছিল। সেই মেয়েদের ইভটিজিং করা হয়েছে বলে দাবি করে তারা তাদের বন্ধুদের ফোন করেন। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসাও করে দেয়। কিন্তু এই ঘটনার প্রধান তিনজন মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী বিষয়টি অন্যদিকে মোড় ঘোরান।
তারা হাজারীপাড়া এলাকার ছেলেদের নিয়ে আসেন এবং জাহিদুলের ওপর হামলা চালান। এসময় জাহিদুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটে দৌড়ে আসার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা তাকে ধারালো অস্ত্র আঘাত করে পালিয়ে যান। তবে এ ঘটনায় যারা জড়িত তারা সবাই প্রাইম এশিয়ার ছাত্র।
শনিবার রাতে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয় নিহত জাহিদুলের ফুপাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মোট আসামি আটজন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
