কলম্বোতে লজ্জার অপেক্ষায় বাংলাদেশ


চতুর্থ দিনের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার লিটন দাস আউট হন দিনের চতুর্থ ওভারে। প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যাট ছোঁয়ানো মাত্র বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের গ্লাভসে।
লিটন ৪৩ বল মোকাবেলা করে করেন মাত্র ১৪ রান। তার বিদায়ে আরও বিপদে পড়ে সফরকারীরা।
তৃতীয় দিন শেষেই কলম্বো টেস্টের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। গল টেস্টে ব্যাট হাতে শাসন করা বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ল কলম্বোতে। দুই ইনিংসেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষেই ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা জেঁকে বসে। একমাত্র আশা ভরসা ছিলেন লিটন দাস। শেষ স্বীকৃত ব্যাটারও তিনি। তবে তিনি ফিরলেন এদিন মাত্র চার বল খেলেই।
কলম্বো টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। ৪০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১২০। ক্রিজে নাঈম হাসানের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম। এখনো পিছিয়ে আছে ৮৭ রানে। জয় থেকে আর তিন উইকেটের অপেক্ষা স্বাগতিকদের।
প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ১১৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়াতে অসম্ভব কিছুই করতে হতো বাংলাদেশকে। তবে চতুর্থ দিনের শুরুতে একে একে লিটন ও নাঈমের বিদায়ে শেষ লড়াইয়ের আশাও শেষ হয়ে গেছে।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে বাংলাদেশ। গলে দুই ইনিংসে ব্যর্থ ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবুও এই ওপেনারকে কলম্বোতে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এবারও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি তিনি।
ইনিংস ওপেন করতে নেমে নতুন বলে নিজের সঙ্গেই লড়াই করেছেন বিজয়। এবার নিজেদের ব্যাটিংয়ের ধরণ পাল্টে অনেকটাই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করার চেষ্টা করেন। তাতে কিছু বাউন্ডারি পেলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাননি। ১৯ রান করে বিজয় ফেরায় ভাঙে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
বিজয়ের ৩ বল পরই ফিরে যান আরেক ওপেনার সাদমান। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২ রান। তিনে নামা মুমিনুল হকও ব্যর্থ ছিলেন। ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে আশা দেখিয়েও পথ দেখাতে পারেনি মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। শান্ত-মুশফিকরা উইকেটে থিতু হওয়ার পর উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। ৪৮ বলে ১৯ রান করেন শান্ত। ৫৩ বলে ২৬ করেন মুশফিক। শেষদিকে নেমে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজও।
