সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আফ্রিদির পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে: বিএসএফ
.jpg)

কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি।
এক স্থানীয় টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি ভারতীয় সেনাবাহিনী ও তাদের মানসিকতা নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেন, যা নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
আফ্রিদি বলেছিলেন, ভারতে একটা বাজি ফাটলেও এর দায় আসে পাকিস্তানের ওপর। আপনাদের ৮ লাখ সেনা মোতায়েন করা আছে কাশ্মীরে, তারপরেও এমন ঘটনা ঘটে–এর মানে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা নেই। আপনি পুরোপুরি অচল।
তবে আফ্রিদির এই মন্তব্য মানতে পারেননি এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি আফ্রিদিকে জোকার তকমা দিয়ে বলেন, ওর নাম নেবেন না। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক চাপে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াইসি।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আফ্রিদির কাজিন একজন সন্ত্রাসী ছিলেন। যাকে হত্যা করেছিল ভারত সেনাবাহিনী, এই জন্য আফ্রিদি ভারতবিরোধী এবং উগ্রপন্থীদের প্রতি তার এত দরদ।
अनंतनाग में मारा जाने वाला आतंकी साकिब अफरीदी, पाकिस्तानी क्रिकेटर शाहिद अफरीदी का चचेरा भाई निकला। pic.twitter.com/JJMxYBgre2
— P.N.Rai (@PNRai1) April 26, 2025
এদিকে আফ্রিদির সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা করেছে ইন্ডিয়া টুডে। গণমাধ্যমটির রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিদির কাজিন শাকিবকে ২০০৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনন্তনাগে এক এনকাউন্টারে হত্যা করেছিল বিএসএফ।
বিএসএফের দাবি, শাকিব হিজবুল মুজাহিদিনের একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ছিল। যার সম্পর্ক ছিল লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে। এ ছাড়াও বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি থেকে নাকি জানা গেছে, শাকিব আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিল।
ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের আফ্রিদিসহ অন্য জনজাতির যোদ্ধাদের পাঠিয়ে কাশ্মীর দখল করার চেষ্টা করেছিল। এই যুদ্ধবাজদের অর্থ এবং নারীর লালসা দেওয়া হতো। কাশ্মীরে লুটপাট এবং মহিলাদের হেনস্তার ঘটনার বহু ইতিহাস রয়েছে। এই আক্রমণের পর রাজা হরি সিং ভারত সরকারের সাহায্য চায় এবং ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে সেনা মোতায়েন করে।
এই কারণেই নেটিজেনরা দাবি করছেন যে আফ্রিদির বারবার কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য কোনো রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং পারিবারিক এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত।
