খুলনায় নির্মাণকাজে ভাটা, ইট বিক্রি কমেছে ৪০ শতাংশ


খুলনায় চলমান নির্মাণকাজ ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হ্রাস পাওয়ায় ইটের বাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। যদিও ইটের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে, তবুও গত বছরের তুলনায় বিক্রির হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
শহরের শিরোমনি, জিরো পয়েন্ট, রূপসা ও কাস্টমঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে খুচরা বাজারে এক হাজার ইটের দাম ৯,৫০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে। ট্রাকপ্রতি তিন হাজার ইট বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ হাজার টাকায়। কিন্তু আগের মতো বিক্রি হচ্ছে না। ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকেই এই মন্দাভাব শুরু হয়েছে।
ইটভাটা মালিকরা বলছেন, নির্মাণকাজ কমে যাওয়ায় চাহিদা নেই বললেই চলে। রিয়া ইটভাটার ম্যানেজার আহাদ আলী জানান, এখন প্রতিদিন ২-৩টি ট্রাকও বিক্রি হচ্ছে না। অথচ অতীতে প্রতিদিন ৭-৮ ট্রাক ইট বিক্রি হতো।
এসবি ইটভাটার পরিচালক মুশফিক সালেহিন বলেন, “ইটের দাম না বাড়লেও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। লাভ মার্জিন ১-১.৫ টাকা থেকে কমে এখন ৩০-৪০ পয়সায় এসে ঠেকেছে। বর্তমানে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
বটিয়াঘাটার ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, ইটের দাম গত বছরের তুলনায় ৪-৫০০ টাকা কম হলেও বিক্রি কমে গেছে ব্যাপকভাবে। ডুমুরিয়ার সরদার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিম সরদারও জানান, আগের তুলনায় ক্রেতার আনাগোনা অনেক কম।
খুলনা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম জমাদ্দার বলেন, “নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ থাকায় চাহিদা কমে গেছে। অনেকে নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে ইট বিক্রি করছেন লোকসান ঠেকাতে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারি-বেসরকারি নির্মাণ কাজ ও নতুন প্রকল্প শুরু হলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
