নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে রাকিব হাসানের মুড়ির কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন


সারাদেশজুড়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, সাভারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী বরপা এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রূপগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা। এ অভিযানে সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে বেশ কয়েকটি বেকারি ও মুড়ির কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব কারখানা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এ সময় মো. রাকিব হাসানের মালিকানাধীন "মেসার্স ভূঁইয়া ফুডস", বরপা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ নামের একটি মুড়ির কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করার সত্যতা পাওয়া গেলে সংযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, রাকিব হাসান স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে আসছেন। কতৃপক্ষ আরও জানান, কারখানাটিতে মাসে কয়েক লক্ষ টাকার অবৈধ গ্যাস পুড়িছেন তারা।
মো. রাকিব হাসান সোনারগাঁ, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের দূর্গাপ্রাসাদ গ্রামের মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে। বাবা এবং ছেলে উভয়ই এই ব্যবসার সাথে জরিত রয়েছেন।
তদন্তে আরও জানা গেছে, রাকিব হাসানের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে “মেসার্স মায়ের দোয়া ফুডস”,জইনপুর, পিরোজপু, সোনারগাঁও নামে একটি বৈধ মুড়ির কারখানা রয়েছে। তবে সেখানেও ২০২৩ সালে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে। পরে ২০২৪ সালে পুনরায় সংযোগ গ্রহণ করে তিনি কারখানাটি চালু করেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নতুন কাগজ/বিএইচ
