শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

যশোর মনিরামপুরের পাঁচকাটিয়া গ্রামের প্রদীপ মল্লিক গ্রেফতার

যশোর মনিরামপুরের পাঁচকাটিয়া গ্রামের প্রদীপ মল্লিক গ্রেফতার
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সৈরাচারী দল আ. লীগের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্র থেকে মফস্বল পর্যায়ের ছোট বড় প্রায়ই নেতারা গা ঢাকা দিয়েছে।আবার সেনাবাহিনী, ডিবি পুলিশ, কালো পোশাকধারী র‍্যাব ও বিভিন্ন থানা পুলিশের হাতেও ধরা পড়েছে বড় নেতা থেকে মফস্বলের অনেক পাতি নেতারা।

তবে যারা গ্রেফতার হয়েছে বা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা প্রত্যেকেই আ. লীগের শাসনামলের কোন না। কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িত। এমনই এক একজন যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার ৫ নং হরিদাসকাটি ইউনিয়নের পাঁচকাটিয়া গ্রামের মৃত মহেন্দীর মল্লিক এর ছেলে প্রদীপ মল্লিক(৪৫)।  

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিক নির্দেশনায় এসআই অরুপ কুমার বসু নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা, একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে পাঁচকাটিয়া বড়ভিটা সনজিৎ মন্ডলের চায়ের দোকান পাশ থেকে গ্রেফতার করেন।শুক্রবার আনুমানিক রাত ৯.৩০ ঘটিকার দিকে স্থানীয়দের, সাথে কথা বলে জানা যাই যে তার নয় ছয় করা তাঁর নেশা এবং পেশা এর থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রান চাই। 

বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা আরো জানান যে এর আগেও তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগের কিছু নেতা দের সে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে সে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এত দিন, প্রদীপ মল্লিক বিভিন্ন সময় নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে বহু মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। এমনকি তাঁর নামে থানায় অনেক অভিযোগ পত্র আছে তিনি মানুষকে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে ও মানুষের কাছ থেকে জোর জবরদস্তি করে হাজার হাজার টাকা আত্মসা ৎ করেছে অসহায় মানুষকে সর্বস্বান্ত করাতার একমাত্র নেশা।

তার একমাত্র পেশা মানুষকে সর্বশ্রান্ত করা ও পেশাগতভাবে কোন নির্দিষ্ট কাজের কথা কেউ বলতে পারেনা। প্রদীপ নিজ এলাকায় কুচলিয়া গ্রামের ভক্তি বিশ্বাস এর ২ একর ১৫ শতাংশ জমি ভক্তি অন্যের জমি নিজে মালিক সেজে বিক্রি করায় তার এক মাত্র নেশা বিষয়টি জানতে পেরে ভক্তি বিশ্বাস যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোটে একটি মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালত  মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে তদন্তর নির্দেশ দেন আদালত পিবিআই এ সত্যতা যাচাই বাছাই করে ও খুলনা সিআইডি ফরেনচিক রিপোর্টে অপরাধ প্রমাণিত হয়। বর্তমান যশোর  সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোটে মামলাটি চলমান ও এই হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাড়াও বিভিন্ন  ইউনিয়ন যেমন, কুলটিয়া, ঢাকুরিয়া দূর্বাডাংঙ্গা, খানপুর, নেহালপুর, মনোহরপুর ও ইউনিয়ন জুড়ে চালিয়েছে আদম ব্যাবসা থেকে শুরু করে প্রতারনা, ধোকাবাজি, ঘেরলুট,চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া,অন্যের সম্পত্তি জবরদখল করা এ ছিলো যেন প্রদীপ এর নিত্য নৈমেত্তিক কাজ।

সরেজমিনে একাধিক ব্যাক্তি জানান, প্রদীপ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো ও অদৃশ্য খুঁটির জোরে। একের পর এক কান্ড ঘটালেও কেউ কোন অভিযোগ করতে পারতোনা, মুখ খুলতো না তার বিরুদ্ধে। দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এই প্রদীপ এর বিরুদ্ধে স্থানীয় সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও আছে অনেক অভিযোগ।এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগীদের দাবী, এই প্রদীপ যেন কোন অসহায় ব্যাক্তিকে সম্বল হারা না। করে, আর কারো কাছ থেকে যেন জমি  প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ না নিতে পারে, এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন