প্রতিবন্ধী বাবা-ছেলের জীবন সংগ্রাম


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকার বাসিন্দারা বেতাল চন্দ্রকে চিনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
বেতাল চন্দ্রপর বয়স (৩৫)। তিনি কখনো রুহিয়া হাসপাতালের সামনে, কখনো থানার সামনে, কখনো হাট বাজারে, কখনোবা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতের ব্যাচ লাইট, আংটি, ছোট বাচ্চাদের ডুরি বিক্রি করে, অন্যান্যদের মতো ভিক্ষা না করে জীবন সংগ্রামের চেষ্টা করছেন।
প্রতিবন্ধী বেতালের বাবা নিজেও প্রতিবন্ধী কিন্তু মনের দুঃখ কখনোই প্রকাশ করেননি।
শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে বেতালকে আগলে রেখেছেন অকৃত্রিম ভালোবাসায়।
একটি পা দিয়েই চলছে মিলন চন্দ্রের জীবন সংগ্রাম।
বাবা মিলন চন্দ্র জানান, একটি পা দিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে চলছে তাদের সংসার।
২৭-২৮ বছর আগে অসুস্থতার কারণে মিলন চন্দ্রকে একটি পা কেটে ফেলতে হয়। ছেলে বেতাল চন্দ্র ৮ মাস বয়সে চুলায় পড়ে গিয়ে পুড়ে যায় মাথার অংশ। সেই থেকেই বেতাল শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী।
ভ্যান চালিয়ে সারাদিন যা আয় করেন তা দিয়েই সংসার চালান তিনি।
মিলন চন্দ্র ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেষপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু বলেন, জীবনে আমি বেতাল ও মিলন চন্দ্রের মত মানুষ খুব কমই দেখেছি।
অন্যান্য শারীরিক প্রতিবন্ধী যারা তাদের ভিক্ষা করতে দেখি। কিন্তু বেতাল ও তার বাবা মিনল চন্দ্র ভিক্ষা করেন না।
কর্ম করে জীবনযাপনের সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারা।
আপেল মাহমুদ, রুহিয়া ঠাকুরগাঁও
