শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কে ধস-দুর্ঘটনার আশঙ্কা

দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কে ধস-দুর্ঘটনার আশঙ্কা
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়কের উত্তর অংশে ধস দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সড়কের বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। ফলে সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহনসহ পথচারিরা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি।

জানা যায়, রংপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রংপুর-দ্বিতীয় তিস্তা সেতু-কাকিনা-রংপুর সড়ক। এ সড়কটি রংপুর-বুড়িরহাট-কাকিনা-পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা-তুষভান্ডার হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে যাওয়ার সহজ সড়ক। সড়কটি দিয়ে লালমনিরহাট থেকে রংপুর শহরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষজন আসা-যাওয়া করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর উত্তর প্রান্তে সড়কটি ভেঙে ভিতরে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে শত শত যানবাহন ও পথচারিরা।

সেতু এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, সেতুর উত্তর পাশের সড়কের এ গর্তটি ৪/৫ মাস থেকে। এগুলো দেখার কেউ নেই। কয়দিন থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় মাাটি সড়ে গিয়ে এখন তা বিশাল হয়েছে। এভাবে টানা বৃষ্টি হলে এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি হুমকির মুখে পড়বে।

আরেক বাসিন্দা হাবিবর রহমান বলেন, সেতুর পাশে সড়ক যেভাবে ভেঙে গর্ত হয়ে আছে, রাস্তার খোয়া বের হয়ে গেছে। তারপরও এই সড়কটি সম্পূর্ণ বালু দিয়ে তৈরি। মুসলধারে বৃষ্টি হলে এবং নদীর পানি বাড়তে থাকলে সড়কের এই অংশটি একবারে ধসে যাবে। তাই সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সংস্কার করা প্রয়োজন।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। এখনেই যদি ধসে যাওয়া স্থানটিতে কাজ করা না হয় তাহলে আর দুই একদিন বৃষ্টি হলে পুরো সড়কটি ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। সেই সাথে দীর্ঘতম সেতুটিও হুমকির মুখে পড়বে।

এবিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বলেন, ধসে যাওয়া স্থানটিতে কয়েকজন নারী শ্রমিক দারা মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 


জহুরুল ইসলাম, রংপুর
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন