মুস্তাফিজদের ছিটকে দিয়ে শেষ চারে মুম্বাই


আইপিএল ২০২৫-এর শুরুটা দারুণ হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্রথম চার ম্যাচেই জয়, আর প্রথম ছয় ম্যাচে পাঁচটি জয় নিয়ে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন দিল্লিই হতে যাচ্ছে আসরের সেরা দলগুলোর একটি। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা বাস্তব হবে।
কিন্তু তখনই সতর্ক করেছিলেন দলের ব্যাটিং কোচ কেভিন পিটারসেন। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, "আইপিএল হলো ম্যারাথন, স্প্রিন্ট নয়।" তার কথার মানে মিলল সময় গড়াতেই। মে মাসে ঢুকতেই যেন ছন্দপতন ঘটল দিল্লির।
প্রথম ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের পর পরবর্তী ৭ ম্যাচে দলটি জয় পায় মাত্র একটিতে। ব্যাটিং-বোলিং—দুই বিভাগেই নেমে যায় ধার। সর্বশেষ ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৫৯ রানে হার নিশ্চিত করে দিল্লির প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাওয়া। আরও একবার হতাশা নিয়েই শেষ হলো দিল্লির আইপিএল অভিযান।
নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে আইপিএলের প্লে-অফের চারটি দল। গুজরাট টাইটান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পাঞ্জাব কিংস আগেই জায়গা করে নিয়েছিল শেষ চারে। এবার তাদের সঙ্গী হলো টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে, মুস্তাফিজুর রহমানের দল দিল্লি ক্যাপিটালস বড় ব্যবধানে—৫৯ রানে পরাজিত হয়ে প্লে-অফের আশা হারিয়ে ফেলল। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তাদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল এই মৌসুমে।
দুর্দান্ত শুরুর পর এমন পরিণতির মুখোমুখি হবে—বোধহয় কল্পনাতেও ছিল না দিল্লি ক্যাপিটালসের। কিন্তু বুধবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে হারের পর এমন এক অপ্রত্যাশিত রেকর্ড গড়ে ফেলেছে দিল্লি, যা আইপিএলের ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি।
এই প্রথম কোনো দল নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে জয় পাওয়ার পর প্লে-অফে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হলো। এমন হতাশাজনক রেকর্ড নিশ্চয়ই নিজেদের সঙ্গে জড়াতে চাইবে না দিল্লির মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি।
ওয়াংখেড়েতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সূর্যকুমার যাদবের ৪৩ বলে অপরাজিত ৭৩ রানে ভর করে দলটি তোলে ৫ উইকেটে ১৮০ রান। জবাবে দিল্লির ব্যাটিং ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১২১ রানে। মুস্তাফিজুর রহমান বল হাতে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, কিন্তু ব্যাট হাতে ফেরেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে। দিল্লির হয়ে কেবল সামির রিজভী ২০ রানের বেশি করতে পেরেছেন।
এই হারের মধ্য দিয়েই দিল্লির প্লে-অফ স্বপ্ন ভেঙে গেল। আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রয়েছে চার দল—গুজরাট টাইটান্স, পাঞ্জাব কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যদিও টুর্নামেন্টে এখনও বাকি ৭টি ম্যাচ, তবে শিরোপার দৌড়ে কারা টিকে আছে, তা এখন একেবারে স্পষ্ট।
