পিএসএলে সাকিবের দুর্দশা অব্যাহত, আবারও রানশূন্য বিদায়


পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খুব একটা সুখকর সময় কাটছে না সাকিব আল হাসানের। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত দুইবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার, কিন্তু দুবারই ফিরেছেন শূন্য রানে।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সাকিবের দল লাহোর কালান্দার্স। ব্যাটিং অর্ডারের নিচে, আট নম্বরে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে স্ট্রাইকে আসেন তিনি। তবে এদিনও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি। মাত্র ২ বল খেলে কোনও রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
সাকিবের এমন ব্যর্থতা লাহোরের ব্যাটিংয়ে বড় প্রভাব না ফেললেও, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিক থেকে তা হতাশাজনকই বলা চলে।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে এবারের আসরে এটি ছিল তার দ্বিতীয় ম্যাচ, আর দুবারই ফিরেছেন শূন্য রানে।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেয় লাহোর। ইনিংসের শেষ ওভারে, আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। পেসার তাইমাল মিলসের করা ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাটে বলই লাগাতে পারেননি তিনি। চতুর্থ বলেই আকাশে তুলে দেন ক্যাচ—মিড অফে সহজভাবে তা তালুবন্দি করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
এর আগেও লাহোরের হয়ে অভিষেক ম্যাচে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে সাকিব ফিরেছিলেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে। ফলে চলতি আসরে দুই ম্যাচে দুই ‘ডাক’ এখন সাকিবের নামের পাশে।
রিশাদের ব্যাটে ছোট্ট কিন্তু কার্যকর ইনিংস
সাকিবের আউটের পর ক্রিজে আসেন আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন। ইনিংসের পঞ্চম বলেই চতুর্থ মারেন তিনি, যা কিছুটা স্বস্তি এনে দেয় লাহোর শিবিরে। শেষ বলে একটি রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান রিশাদ। তার সংগ্রহ ২ বলে ৫ রান।
লাহোরের শক্তিশালী ব্যাটিং ঝড়
ম্যাচের শুরুতে লাহোরের ব্যাটিংয়ে ছিল দারুণ দৃঢ়তা। শ্রীলঙ্কান কুশল পেরেরা খেলেন ম্যাচসেরা ইনিংস—৩৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান। ওপেনার মোহাম্মদ নাইমও ছিলেন ঝড়ো মেজাজে, ২৫ বলে করেন ৫০ রান। এ ছাড়া আব্দুল্লাহ শফিক ২৪ বলে ২৫ এবং ভানুকা রাজাপাকসে ১৩ বলে ২২ রান করে দলের স্কোরবোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
এই সব মিলিয়ে লাহোর কালান্দার্স ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ, যা পরে ম্যাচ জয়ে যথেষ্ট প্রমাণিত হয়।
দৈএনকে/এসএ
