ম্যাজিক্যাল মেসি! ফ্রি-কিকে গোল, হার থেকে বাঁচল ইন্টার মায়ামি


৮৭ মিনিট পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল ইন্টার মিয়ামি। অনেক দর্শক তখন হয়তো ধরে নিয়েছিলেন, এই ম্যাচেও পরাজয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে দলটিকে। তবে লিওনেল মেসি মাঠে ছিলেন বলেই কিছু সমর্থক তখনও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় বুক বেঁধে ছিলেন।
ঠিক সেই সময়েই দৃশ্যপটে আবির্ভাব ঘটান মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মাত্র ৮ মিনিটের ব্যবধানে একটি দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন এবং আরেকটি গোলে সহায়তা দিয়ে দলকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে ফেরান।
আবারও প্রমাণ হলো—বড় মঞ্চ, কঠিন পরিস্থিতি, শেষ মুহূর্তের চাপ—সবকিছুর মাঝেও যিনি ভরসার নাম, তিনি লিওনেল মেসি। ম্যাচটা হয়তো জয় নয়, তবে তাঁর নৈপুণ্যে ইন্টার মিয়ামি নিশ্চিত করেছে এক পয়েন্ট, আর সমর্থকেরা ফিরে পেয়েছেন আনন্দ ও স্বস্তি।
মেজর লিগ সকারে টানা তিন ম্যাচে জয় না পাওয়ায় বড়সড় চাপের মুখে পড়েছিল ইন্টার মায়ামি। তাই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছিল দলটি। তবে প্রত্যাশার বিপরীতে ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল না মায়ামি। খেলার বড় একটি অংশে পিছিয়ে থেকেছে তারা।
তবে শেষ দিকে সেই চেনা রূপে হাজির হন লিওনেল মেসি। এক জাদুকরী ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত গোল করার পাশাপাশি, শেষ মুহূর্তে আরও এক গোলে অবদান রেখে দলকে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচান আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করলেও, মেসির পারফরম্যান্স আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সর্বশেষ ৮ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে মায়ামি। বাকি ৭ ম্যাচে তারা জয়হীন, যেখানে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে পারলেও নিজেদের জাল আগলে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। এই সময়েই তারা হজম করেছে ২৩টি গোল—যা দলের রক্ষণভাগের দুর্বলতার স্পষ্ট প্রমাণ।
এমএলএসেও ভালো সময় কাটছে না মেসিদের। টানা চার ম্যাচে জয়শূন্য থাকার ফলে পয়েন্ট তালিকায় নিচে নেমে গেছে দলটি। ১৪ ম্যাচে ৬ জয়, ৫ ড্র ও ৩ পরাজয়ে মায়ামির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৩। এক ম্যাচ বেশি খেলা ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের সংগ্রহ এখন ৩০ পয়েন্ট—যা শীর্ষে অবস্থান করার জন্য যথেষ্ট।
মেসি নিয়মিত পারফর্ম করলেও, দলের ব্যর্থতা এখন বড় চিন্তার কারণ। বিশেষ করে রক্ষণভাগে দ্রুত পরিবর্তন না আনলে, প্লে-অফের লড়াইয়েও কঠিন হয়ে পড়বে ইন্টার মায়ামির জন্য।
