লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে, বিপর্যস্ত জনজীবন


লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে তাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত ও প্রায় পাঁচ লাখ লোকের বসবাস। বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার। দিনে ১০-১৫ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে।
এতে, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিপাকে পড়েছে জনজীবন। গত তিন দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক লোডশেডিং হয়। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থায় ফোন করে অভিযোগ করে অনেকে। শহরের বাহিরে ইউনিয়নগুলোতে দিনে-রাতে ১ থেকে ১২ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে ভুগছে ৫ লাখ মানুষ।
শহরের এক ব্যবসায়ীর ভাষ্য,সামনে কোরবানির ঈদ শেষের দিকে এসে এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ঈদ মার্কেটে প্রভাব পরেছে। সন্ধার পর থেকে শপিংমল, মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা চলে হরদম এরমধ্যে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। এতে, আইপিএস ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জফুল করতে যথাযথ সময় পাচ্ছে না। জেনারেটর চালাতে সময় নিচ্ছে। বিদ্যুতের এ আসা-যাওয়ার সময়ে দোকানি-ক্রেতা অতিষ্ঠ। প্রচন্ড তাপদাহে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সর্বস্তরের জনগণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা আর ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন অনেকে।
সরকারের বদনামের উদ্দেশ্যে রায়পুর পলী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) পরিকল্পিত লোডশেডিং করাচ্ছে, কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে।
শহরের অপসেট প্রেসের এক মালিক বলেন,বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসা ওভয়াবহ লোডশেডিংয়ে ব্যবসা করতে চরম কষ্ট হচ্ছে। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চরম হতাশ হয় শহরটি। বেশি লোডশেডিং হচ্ছে যা বলার ভাষা নেই। ৭-৮ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিল না রোববার,কম্পিউটারে বসছি আর উঠছি। প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং এখন এ অবস্থা,সামনে কি যে হয়! আমরা না হয় মানিয়ে নিলাম। কিন্তু বাচ্চাগুলোর অবস্থা খারাপ। তারা গরমে ছটপট করে।
রায়পুর পৌরসভা পানি সরবরাহ শাখা সূত্রে জানায়, অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে পৌরসভার ট্যাংকে পানি তোলা যাচ্ছে না। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহকরা যাচ্ছে না। এতে, পৌরসভার ৫০ হাজার মানুষ পানির কষ্টে ভুগছেন।
রায়পুর পলী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক ডিজিএম শাহাদাত হোসেন বলেন, রায়পুরে ১ লাখ ৮ হাজার গ্রাহক রয়েছে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের চেয়ে কম বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাই ৪ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও আমরা সর্বাক্তক চেষ্টা করি লোডশেডিং না দেয়ার।
মাহমুদুন্নবী সুমন, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর
