বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

পাইকগাছায় কাঁঠালের ফলন ভাল হয়নি,ভালো দামে খুশি চাষিরা

পাইকগাছায় কাঁঠালের ফলন ভাল হয়নি,ভালো দামে খুশি চাষিরা
এ বছর প্রায় ৮শ মেট্রিকটন কাঁঠাল উৎপাদন হবে
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

খুলনার আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এ বছর কাঁঠালের ফলন ভাল হয়নি, তবে ভালো খুশি দামে চাষিরা। 
 
উপজেলার পাইকগাছার কৃষি অধিদপ্তরের একজনের ভাষ্য, উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল গাছ রয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলীতে কাঁঠালের বাগান আছে। এ বছর প্রায় ৮শ মেট্রিকটন কাঁঠাল উৎপাদন হবে বলে কৃষি অফিস ধারণা করছে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় কিছু কিছু কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে কাঁঠাল বাগান গড়ে ওঠেনি। তবে মিশ্র বাগানে কাঁঠাল বাগান রয়েছে। কাঁঠাল কাঁঠের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এলাকার বড় বড় গাছ গুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সে ভাবে কোন কাঁঠাল বাগান গড়ে ওঠেনি এবং এলাকায় বড় কোন কাঁঠাল গাছ তেমন একটা চোখে পড়ে না।

বৈরী আবহাওয়া ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় পাইকগাছায় আশানুরূপ কাঁঠালের ফলন হয়নি। মৌসুম শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় কাঁঠাল বৃদ্ধি কম হওয়ায় আকার ছোট হয়েছে। অধিকাংশ গাছের কাঁঠাল এবড়ো- খেবড়ো ও ছোট হওয়ায় কাঁঠালের কোষ তেমন বড় হয়নি। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে কাঁঠাল পাঁকা শুরু হয়েছে। বর্তমানে, কাঁঠালের ভরা মৌসুম চলছে এবং বাজারে চড়া দামে কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে।

কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতে খাওয়া যায়। কাঁঠাল সবজি হিসাবেও বাজারে বিক্রি হয়। একটি কাঁঠাল ৮০ টাকা থেকে ৩শ টাকার অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস কাঁঠাল পাঁকার উৎকৃষ্ট সময় হলেও জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁঠাল বাজার বেঁচা-কেনা হচ্ছে। কাঁঠাল রসালো ও সু-স্বাদু একটি ফল। কাঁঠাল প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। শহর ও গ্রাম অঞ্চলের উভয় মানুষের কাছে খুব পছন্দের। মানুষের সুস্থ্য সবল স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিনের অভাব পূরণে কাঁঠাল খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কাঁঠালের একটি বড়গুণ এর কোনো কিছু বাদ যায় না। কাঁঠালের কোষ, খোসা ও বিচি সব কিছুই প্রয়োজনীয়। বিচি উৎকৃষ্টমানের সবজি হিসাবে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। কাঁঠালের খোসা গরু-ছাগলের প্রিয় খাদ্য। তাছাড়া কাঁঠালের পাতা ছাগল-ভেড়া-গরুর প্রিয় খাবার হিসাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাঁঠাল উৎপাদনে কোনো খরচ না থাকায় চাষীরা লাভবান বেশি হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এ বছর উপজেলায় কাঁঠালের ফলন ভাল হয়নি। তবে কাঠালের বাজার মূল্য ভালো। কাঁঠাল গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কাঁঠাল গাছ লাগাতে তেমন কোনো খরচ হয় না। শুধু বাগান পরিচর্যা করলে চলে। এতে, করে কৃষকরা কাঁঠাল গাছ থেকে বেশি ফলন পাবে ও লাভবান হবে।


প্রকাশ ঘোষ বিধান,পাইকগাছা,খুলনা
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন