ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা, হেলমেট ধরে টানলেন প্রোটিয়া পেসার


ক্রিকেটে আবেগের প্রকাশ নতুন কিছু নয়। তবে খেলোয়াড়দের আচরণে শালীনতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের মধ্যকার দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে সেই সীমারেখা যেন ভেঙে যায়।
ম্যাচের ১০৫তম ওভারে ঘটে ঘটনাটি। ওভারের প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেট গিয়ে প্রোটিয়া পেসার টিপেসু এনটুলিকে ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের ব্যাটার রিপন মন্ডল। কিন্তু সেই শট যেন ভালোভাবে নিতে পারেননি এনটুলি। পরক্ষণেই ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে এগিয়ে আসেন রিপনের দিকে, শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক।
বাগ্বিতণ্ডা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ উঠেছে, এনটুলি রিপনের হেলমেট ধরে টান দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করতে হয় আম্পায়ারদের।
মাঠে এমন আচরণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদার সঙ্গে যায় না বলেই মত বিশ্লেষকদের। সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ম্যাচ রেফারির দল।
ছক্কার পর ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার পর পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। রিপন মন্ডলের হেলমেট ধরে টানাটানি শুরু করেন উত্তেজিত প্রোটিয়া পেসার টিপেসু এনটুলি। আম্পায়ার সামনে থাকলেও থামানো যাচ্ছিল না তাকে। রিপন নিজেও হাত তুলে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।
এরপর দুই আম্পায়ার এবং আশপাশের ফিল্ডাররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এনটুলি কিছুক্ষণ ধরে মুখে মন্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার আরও দুই ক্রিকেটার এগিয়ে এসে রিপনের সঙ্গে কথা বলেন, চেষ্টা করেন উত্তেজনা প্রশমনে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এ ঘটনার পর খেলায় মনোযোগ ফেরে উভয় দলের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল অলআউট হয় ৩৭১ রানে। ব্যাট হাতে রিপন মন্ডল খেলেন কার্যকরী এক ইনিংস—৮১ বলে ৪৩ রান করেন, যার মধ্যে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করেন এনটুলি নিজেই।
এর আগে প্রথম চার দিনের ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। আর ওয়ানডে সিরিজে জমজমাট লড়াইয়ের পর ট্রফি নিজেদের ঘরে রেখেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
