শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে কাঁদছে হাজারো মানুষ

প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে কাঁদছে হাজারো মানুষ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে কাঁদছে হাজারো মানুষ। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী অসংখ্য মানুষ, বসতভিটা ও স্থাপনা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে রয়েছে চরইন্দুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা। 

নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি। 

মেঘনা পাড়ের স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার আবেদন করা হলেও আজও স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর প্রবল স্রোতে ও পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙন আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাস করে নিবে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নের মানচিত্র। 

নদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। রায়পুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইন্দুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। 

মেঘনা উপকূলীয় নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, উপজেলার মধ্যে চরকাচিয়া, চরইন্দুরিয়া ও জালিয়ারচরের মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।

তিনি আরও বলেন, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক নিগার সুলতানা বলেন,'নদী ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা উপকূলবাসীর কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ হোসেন জানান, বিষয়টি অবগত নন তারা। রায়পুর কার্যালয়ের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানান।


দৈএনকে/জে,আ
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন