চেলসির রাজত্ব সম্পূর্ণ, উয়েফার তিন শিরোপাই এবার তাদের


উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচে শুরুতে রিয়াল বেটিসই দিয়েছিল চমক। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটেই ইজালজৌলুরি গোল করে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ ক্লাবটিকে। প্রথমার্ধেও এই লিড ধরে রাখে বেটিস।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ব্লুজরা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ গোল করে সমতা ফেরান। এরপর আর থেমে থাকেনি দলটি। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে ফেলে বেটিসকে।
শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে ব্লুজরা, যারা প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও দেখিয়েছে দুর্দান্ত প্রতিশোধের মানসিকতা।
উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল বেটিসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে চেলসি। এনজো মারেস্কার দলটি হয়ে উঠেছে ইউরোপের প্রথম ক্লাব, যারা উয়েফার তিনটি প্রতিযোগিতা—চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগ—সবকটির শিরোপাই জিতেছে।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় চেলসি। ৯ মিনিটে বেটিসের হয়ে ইজালজৌলুরি গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। তবে ৬৫ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের গোলে সমতায় ফেরে ব্লুজরা। এরপরই ম্যাচে দাপট দেখাতে শুরু করে তারা।
৭০ মিনিটে নিকোলাস জ্যাকসন গোল করে চেলসিকে লিড এনে দেন। এরপর ৮৩ মিনিটে জাদন সানচোর নিখুঁত ফিনিশিং রিয়াল বেটিসের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন একরকম গুঁড়িয়ে দেয়। যোগ করা সময়ে ময়েস কেইসেডো আরও একটি গোল করে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করেন শিরোপা।
বেটিস দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে, যা উল্টো ফল এনে দেয় তাদের জন্য। একের পর এক আক্রমণে ধসে পড়ে রক্ষণভাগ, আর তারই সুযোগ নেয় আক্রমণাত্মক চেলসি।
এই জয়ে চেলসির শোকেসে যুক্ত হলো তাদের দশম আন্তর্জাতিক শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপও।
এদিকে ঘরোয়া লিগে চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে ব্লুজদের মৌসুম। তবে শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে চেলসি লিগ টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছে এবং নিশ্চিত করেছে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ায় আগামী ট্রান্সফার উইন্ডোতে দল শক্তিশালী করার বড় সুযোগ পাচ্ছে চেলসি—নতুন মৌসুমে আরও ধারালো হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই।
