শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

গৌরীপুরে রাস্তা বক্স কেটে ফেলে রেখে ঠিকাদার নিরুদ্দেশ, জনদুর্ভোগ 

গৌরীপুরে রাস্তা বক্স কেটে ফেলে রেখে ঠিকাদার নিরুদ্দেশ, জনদুর্ভোগ 
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা থেকে মইশহাটি সড়ক পাকাকরনের জন্য ২ কিলোমিটার সড়ক এক বছর আগে বক্স কেটে রেখে ঠিকাদার নিরুদ্দেশ হয়।
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ময়মনসিংহে এক বছর আগে রাস্তা বক্স কেটে ফেলে রেখে ঠিকাদার নিরুদ্দেশ, জনদুর্ভোগ চরমে।

গৌরীপুর উপজেলার মাওহা থেকে মইশহাটি সড়ক পাকাকরনের জন্য ২ কিলোমিটার সড়ক এক বছর আগে বক্স কেটে রেখে ঠিকাদার নিরুদ্দেশ হয়।

 কার্যাদেশ অনুযায়ী তিন মাস আগে এ সড়কের কাজ সম্পন্ন হওয়ার সময় শেষ হলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ না হওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

কাজ না করে পালিয়ে যাওয়া ওই ঠিকাদার যিনি কাজ কিনে নিয়েছিলেন তিনি ৫ আগস্টের পর পলাতক রয়েছেন। তাছাড়া নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে এব ঠিকাদারের টাকা নেই তাই কাজ করতে পারছেন না।

গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের (এলজিইডি) একজনের ভাষ্য, এলজিডির (এমআরআইডিপি) প্রকল্পের আওতায় উল্লিখিত এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক করতে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৬শ টাকা চুক্তিমূলে কাজ পান নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর এলাকার ঠিকাদার মো. সারোয়ার জাহান। কার্যাদেশ অনুযায়ী গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা।

কিন্তু ঠিকাদার রাস্তার বক্স কেটে ফেলে রেখে নিখোঁজ হয়ে যান। এতে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে না কোন যানবাহন। পরিবহণের অভাবে উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে না পারায় কৃষকরা বিপাকে আছে। এতে, স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ এবং রোগীদের চলাফেরায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। জমে থাকা পানি আর কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে লোকজনকে। 

গৌরীপুর উপজেলার সঙ্গে নেত্রকোনার সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের সংযোগ রাস্তা এটি। প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে, স্থানীয় লোকজনের সংযোগ রাস্তার বেহাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় একজন জানায়, প্রায় এক বছর পূর্বে সড়কের মাটি খুড়ে বক্স কেটে অর্ধেক রাস্তায় কাদামিশ্রিত বালু ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর এ রাস্তায় আর কোনো কাজ হয়নি। ঠিকাদার বা তাদের লোকজনের কোনো খোঁজখবর নেয়। এখন বৃষ্টির জমে থাকা পানি ও কাদায় রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেনা কোনো যানবাহন। কৃষকদের উৎপাদিত ধান ও অন্যান্য ফসল বাজারে বিক্রি করতে পারছে না।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মো.সারোয়ার জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছ থেকে যে ঠিকাদার কাজটি নিয়েছিলেন, ৫ আগস্টের পর তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হওয়ায় তিনি এখন বাড়ি ছাড়া। এজন্য সমস্যা হয়েছে। বিল না পাওয়ায়, ঠিকাদারের টাকা নেই, তাই কাজ করাতে পারছিনা।

গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী অসিতবরণ দেব বলেন, ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও কাজটি সম্পন্ন করেনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।         


গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), প্রতিনিধি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন