বরিশাল নগরীতে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার মানুষ


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরিশাল নগরীতে বৃষ্টি ও কীর্তন খোলার নদীর পানি বাড়ায় নগরীর বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশালে বৃহস্পতিবার ( ২৯ মে) বিকেল পর্যন্ত ৭০ দশমিক ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
বৃষ্টি ও কীর্তন খোলার নদী পানি বাড়ায় নগরীর বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এতে, সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপকূলের অনেক জনপদ প্লাবিত হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক আনিচুর রহমান বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে কখনো হালকা আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ১০টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৩ মাইল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের ছয়টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটায় ১৭, বেতাগীতে ১, ভোলার মেঘনা নদীর তজুমদ্দিন পয়েন্টে ৬৭, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১৩ এবং উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদী, বরিশালের কীর্তনখোলা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে বুড়িশ্বর নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়লে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর বটতলা চৌমাথা সড়ক, বগুড়া রোড এলাকা, ভাটিখানা, আমানতগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন সড়ক, শাখা সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে জলাবদ্ধতা। নগরীর নিম্নাঞ্চল হিসেবে পরিচিত রসুলপুর, পলাশপুর, মোহম্মদপুর এলাকার বেশির ভাগ ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
ভাটিখানা এলাকার মামুন হোসেন বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই নগরীর ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বেশির ভাগ পাড়ায় হাঁটুপানি জমে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে কয়েক বছর ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরীর বটতলা এলাকার বাসিন্দা তুহিন আহমেদ বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই বটতলা থেকে চৌমাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে হাঁটুপানি জমে থাকে। তাই কচা বাজারসহ প্রায় সড়কে হাঁটুপানির মধ্যে চলাচল করতে হয় নগরবাসীর।
বরিশাল প্রতিনিধি: এইচ এম ইমরান!
