ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু


ঝিনাইদহে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারালেন এক বাংলাদেশি। নিহত বাংলাদেশির নাম নাসির উদ্দীন (৪৮)। তিনি মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুঁড় পশ্চিমপাড়ার লুৎফর রহমান ওরফে লতাফুলের ছেলে। স্থানীয় শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১৭ মে সীমান্তের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নাসির গুলিবিদ্ধ হন। সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ’র সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পেটে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নাসির গোপনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার ৩০ মে (শুক্রবার) ভোরে তিনি মারা যান।
সীমান্ত এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৭ মে শ্যামকুঁড় গ্রামের নাসির, একই উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের বর্ডার রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগ ভারত সীমান্তে গেলে পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে প্লাস্টিক বল এ্যামিনেশন ছররা গুলি বর্ষণ করে। গুলিতে নাসিরসহ তার দুই সহযোগি আহত হন। বিষয়টি গোপন রেখে গুলিবিদ্ধ সবাই গোপনে চিকিৎসা নেন। অন্য দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও নাসির অবশেষে মারা যান। একই গ্রামের বাসিন্দা শ্যামকুঁড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর জানিয়েছেন, তার ভাতিজা নাসির মারা গেছেন এটা সত্যি। তবে কিভাবে মারা গেছেন তা তিনি জানেন না।
শুক্রবার জুম্মাবাদ তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফেরদৌস খান জানান, নাসিরের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি তার বাড়িতে যান। কিন্তু বিএসএফ’র গুলিতে মারা গেছে এমন কথা পরিবারের কেউ স্বীকার করছে না। বিষয়টি তারা গোপন রাখতে চাচ্ছেন। তবে প্রতিবেশিদের অনেকেই বিএসএফ’র গুলিতে মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার জানিয়েছেন, মারা যাবার কথা তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান। অপরদিকে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, এমন কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে বিজিবির সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বিএসএফ গুলি করেছে এমন কথা পরিবারের কেউ অজ্ঞাত কারণে স্বীকার করছেন না।
তরিকুল ইসলাম তারেক
