মেসির ম্যাজিক্যাল রাত, কলম্বাসকে উড়িয়ে দিল ইন্টার মায়ামি


লিওনেল মেসি কি শুধুই একজন ফুটবলার? নাকি ফুটবল মাঠে এক জীবন্ত জাদুকর? উত্তর খুঁজে পেতে হলে চোখ রাখতে হতো আজ ভোরের ম্যাচটিতে।
মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে মাঠে নামা মানেই যেনো মেসির জন্য আরেকটি শিল্পকর্ম উপহার দেওয়া। ম্যাচটিতে ২ গোল এবং ৩ অ্যাসিস্ট করেন তিনি। অর্থাৎ ইন্টার মায়ামির করা সবগুলো গোলেই সরাসরি অবদান ছিল এই আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
মায়ামি শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতে নেয় এবং পুরো সময়জুড়েই ম্যাচের মঞ্চের একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন মেসি। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের যেন চোখে ধাঁধা লাগিয়ে বারবার বল জালে জড়িয়েছেন, বানিয়ে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য সব সুযোগ।
এই পারফরম্যান্স শুধু জয় এনে দেয়নি, আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে—৩৬ বছর বয়সেও কেন মেসিই আধুনিক ফুটবলের চূড়ান্ত সংজ্ঞা।
লিওনেল মেসির দুর্দান্ত ফর্ম অব্যাহত রয়েছে মেজর লিগ সকারে। কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয়ে সরাসরি ভূমিকা রাখা মেসি এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ১০ গোল করলেন। এই গোলের সুবাদে এমএলএস-এর নিয়মিত মৌসুমে তার মোট গোল দাঁড়াল ৩০-এ। আর এতেই মিয়ামি ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে উঠে গেলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর, পেছনে ফেললেন গঞ্জালো হিগুয়াইনকে।
ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে ইন্টার মায়ামি। মাত্র ১৩ মিনিটে টাডেও আলেন্দে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর ১৫ ও ২৪ মিনিটে দুইটি অসাধারণ চিপ শটে পরপর দুটি গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে কলম্বাস ক্রু। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সিজার রুভালকাবার হেড থেকে একটি গোল শোধ করে তারা। কিন্তু ৬৪ মিনিটেই লুইস সুয়ারেজ গোল করে আবারও ব্যবধান ৪-১ করেন। গত দুই ম্যাচে এটি উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের তৃতীয় গোল।
শেষ দিকে, ৮৯ মিনিটে ফাফা পিকল্টকে একটি নিখুঁত ব্রেকওয়ে পাস দিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন মেসি। পিকল্ট গোল করলে ৫-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ইন্টার মায়ামি। শেষ তিন ম্যাচে কলম্বাস হজম করেছে ১০ গোল, যার বড় অংশের পেছনে মেসির অবদান।
মেসির জন্য এই ম্যাচটি ছিল আরও একটি মাইলফলকের রাত। শুধু এই ম্যাচেই নয়, আগের ম্যাচেও ৪টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। গত বুধবার সিএফ মন্ট্রিয়ালের বিপক্ষে ৪-২ ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর এ ম্যাচে জিতল ইন্টার মায়ামি, যা ছিল টানা চার ম্যাচ জয়বিহীন থাকার পর পরপর দ্বিতীয় জয়।
এই পারফরম্যান্স দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে নিঃসন্দেহে, কারণ সামনে রয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে মিশরের আল আহলির বিপক্ষে ১৪ জুনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে এটি মেসিদের শেষ প্রস্তুতি ছিল।
