শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

পিএসজির দুরন্ত ফাইনাল, ইউসিএলে সোনা-ঝরা ইতিহাস

পিএসজির দুরন্ত ফাইনাল, ইউসিএলে সোনা-ঝরা ইতিহাস
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার বড় পরিবর্তন এসেছে। ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্টে আর ৩২ নয়, অংশ নিচ্ছে ৩৬টি দল। একই সঙ্গে বদলে গেছে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটও, যা ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে আর্থিক কাঠামোতে।

আগের ২.১৯ বিলিয়ন ডলারের মোট পুরস্কার অর্থ বাড়িয়ে এবার সেটি করা হয়েছে ২.৭১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৫২০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ যোগ হয়েছে ইউরোপ সেরার এই লড়াইয়ে।

ফলস্বরূপ, ফরম্যাট আর অর্থ—দুটিতেই নতুন ইতিহাস লিখেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ইন্টার মিলানকে হারিয়ে শুধুমাত্র শিরোপাই জেতেনি তারা, সেই সঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ অর্থও ঘরে তুলেছে ক্লাবটি।

মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালটা যেন একপেশে শো ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি)। ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ শিরোপা নিজেদের করে নেয় ফরাসি ক্লাবটি। একই সঙ্গে নিশ্চিত হয় মৌসুমের ট্রেবল সাফল্যও।

এই জয়ে পিএসজি শুধু মাঠেই নয়, আর্থিক দিক থেকেও ইতিহাস গড়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে দলটি পেয়েছে ২৭.৮ মিলিয়ন ডলার—বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর বাইরে বিভিন্ন ধাপে জয় এবং অগ্রগতির ভিত্তিতে মিলবে অতিরিক্ত অর্থ। রানার্সআপ ইন্টার মিলানও পেয়েছে ২৫৪ কোটি টাকার বেশি।

এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মোট প্রাইজমানি ছিল রেকর্ড ২.৭১ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। তুলনামূলকভাবে গত মৌসুমে ছিল ২৬ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা, অর্থাৎ এবার বেড়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি।

রাজস্বেও শীর্ষে পিএসজি-ইন্টার
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে পারফরম্যান্স, সম্প্রচারস্বত্ব ও মার্কেট পুল থেকে বড় অঙ্কের আয় করেছে ফাইনালিস্ট দুই দল। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার হিসাব অনুযায়ী, ইন্টার মিলান আয় করেছে প্রায় ১১১ মিলিয়ন ডলার এবং পিএসজি তুলেছে ১০৩.৫ মিলিয়ন ইউরো। এবারই প্রথমবারের মতো দুটি ক্লাব ১০০ মিলিয়ন ডলারের গণ্ডি পেরিয়েছে।

সামনে আরও আয়ের সুযোগ
এই শিরোপা পিএসজির সামনে খুলে দিয়েছে আরও বড় মঞ্চের দরজা। ২০২৫ সালের ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ২০২৯ সালের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যেখানে রাজস্ব আয়ের আরও উৎস রয়েছে।

ঐতিহ্যের ট্রফি, নির্ধারিত পুরস্কার
চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পিএসজির হাতে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৬.৫ পাউন্ড ওজনের ঐতিহাসিক ট্রফি। পারফরম্যান্সভিত্তিক আয় ছাড়াও, লিগ পর্ব, নকআউট রাউন্ড, রাউন্ড অব সিক্সটিন, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল—প্রতিটি ধাপে উত্তীর্ণ হওয়া ক্লাবগুলো পায় নির্দিষ্ট পরিমাণ পুরস্কার অর্থ।

এই সব মিলিয়ে, ইউরোপের সেরা হওয়ার লড়াইটা শুধু গৌরব নয়, বিপুল অর্থনৈতিক লাভের দিক থেকেও একটি বিশাল বিজয়—আর সেটিই এখন সবচেয়ে সফলভাবে ঘরে তুলেছে পিএসজি।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ