শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

মনু নদের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার প্রবাহিত, পানিবন্দি ৮ হাজার

মনু নদের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার প্রবাহিত, পানিবন্দি ৮ হাজার
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

মৌলভীবাজারে ভারী কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের ঢলে মনু নদের পানি বাঁধের বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। 

রাজনগর উপজেলা ও সদর উপজেলার অংশে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কের শিমুলতলা অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এতে, প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। এ ছাড়া জেলার বাকি সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে মনু নদের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

এদিকে, রাজনগর উপজেলার বাঁধর অংশের আদিনাবাদ, একামধু ও কান্দিরকুলের তিনটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানয়ীরা। নদী পাড়ের মানুষ রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন।

এছাড়া ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের একজন জানায়, মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৪৭৩ জন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। সাতটি উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা ও ১৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া এবং বিশেষ নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৩৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকার অনুদান চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, আমরা বন্যার্তদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা ও ১৩০ টন চাল দিয়েছি। সেনাবাহিনী, বিজিবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৭ সদস্যের বন্যা মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। জেলার সব উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।    


তিমির বনিক, প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার 
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন