মনু নদের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার প্রবাহিত, পানিবন্দি ৮ হাজার


মৌলভীবাজারে ভারী কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের ঢলে মনু নদের পানি বাঁধের বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
রাজনগর উপজেলা ও সদর উপজেলার অংশে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কের শিমুলতলা অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এতে, প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। এ ছাড়া জেলার বাকি সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে মনু নদের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে, রাজনগর উপজেলার বাঁধর অংশের আদিনাবাদ, একামধু ও কান্দিরকুলের তিনটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানয়ীরা। নদী পাড়ের মানুষ রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন।
এছাড়া ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের একজন জানায়, মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৪৭৩ জন পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। সাতটি উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা ও ১৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া এবং বিশেষ নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৩৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকার অনুদান চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, আমরা বন্যার্তদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ৩ লাখ টাকা ও ১৩০ টন চাল দিয়েছি। সেনাবাহিনী, বিজিবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৭ সদস্যের বন্যা মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। জেলার সব উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিমির বনিক, প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার
