শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

সাভার আশুলিয়ায় ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা, মাঠে সরব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সাভার আশুলিয়ায় ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা, মাঠে সরব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ শিল্পকারখানা ও পোশাক শিল্পে ছুটি শুরু হয়েছে। ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী যৌথবাহিনীর সদস্যরা নিরোলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চলমান কর্মকান্ডে গত কয়েক বছর ধরেই ভোগান্তি পোহাতে হয় সাভারের আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়কের যাত্রীদের। দেশের উত্তরবঙ্গগামী ব্যাস্ততম এই সড়কটিতে চলমান উন্নয়ন কাজের ফলে সড়কটি পারাপারে এবার ভোগান্তির আশঙ্কা যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।

প্রতি বছর ঈদযাত্রায় দেশের উত্তরবঙ্গগামী আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়কটিতে নামে যাত্রীদের ঢল। সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোর ছুটি শুরু হলে সড়কটিতে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বাড়ে কয়েকগুন।

এক্সপ্রেসওয়ের চলমান নির্মাণকাজের কারণে সংকীর্ণ হয়ে পড়া এই সড়কটিতে ঈদের বাড়তি চাপ সামলাতে প্রতিবছরই হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।এর মাঝে এবছর বৈরী আবহাওয়ার কারনে চলমান মহাসড়কের কর্মকান্ডের ফলে সৃষ্ট খনাখন্ডে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থাকায় বেড়েছে যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে বহুগুন।

গন্তব্যগামী যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন,নতুন ইপিজেড থেকে বলিভদ্র, বাইপেলের মোড় হয়ে পলাশবাড়ী পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা আড়াই ঘন্টা সময় লাগে অথচ রাস্তা হলো এক কিলোমিটার। এক কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে যদি আড়াই ঘন্টা তিন ঘন্টা সময় লাগে,এটা যেমন যাত্রীদের হয়রানি, তেমনি পরিবহন এর ও হয়রানি। এটা সরকারি কর্মকর্তারা যদি সাথে থেকে নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে হয়তো যানযট কমবে।

এদিকে বিগত কয়েক মাসে মহাসড়কে ঘটে যাওয়া ছিনতাই-ডাকাতি নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে যাত্রীদের মাঝে। তবে প্রশাসন বলছে সড়ক-মহাসড়কে ভোগান্তি নিরসনে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। থানা পুলিশ,হাইওয়ে পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন এবং যানজট নিরসনে প্রতিটি পয়েন্টে নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী।   

এবিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছালেহ আহমেদ বলেন,যানযট নিরসনের জন্য সাভার হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে আমাদের বেশ কয়েক স্তরের ফোর্স কাজ করতেছে, আমাদের ফুট পেট্রোল আছে, আমাদের ট্রাফিক ডিউটির জন্য আলাদা ডেপ্লয়মেন্ট (মোতায়েন) আছে।সড়কে চারটা মোবাইল টিম কাজ করতেছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আমরা কাজ করতেছি। এর মধ্যে বৈরী আবহাওয়ার জন্য আমরা একটু টেনশনে ছিলাম, কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হয় আমরা কভার আপ করতে পারব।

আমাদের যে পরিমাণ ফোর্স ডেপ্লয়মেন্ট (মোতায়েন) হয়েছে, আমিনবাজার থেকে শ্রীপুর সীমানা পর্যন্ত, বাইপাইল, নবীনগর এই জায়গা গুলো নিয়ে অনেক ভাবেই আমাদের কন্সেন্ট্রেশন আছে। জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং অন্যান্য স্টেক-হোল্ডাররা ও আমাদেরকে সহযোগিতা করছে।আমরা আশা করছি ঘরমুখী মানুষ গুলো নিরাপদে-নির্ভিঘ্নে ঘরে পৌছাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ঈদুল আজহা তে পশুবাহী অনেক গাড়ি আসে, অনেক নগদ টাকার বিষয় থাকে, এরকম চুরি ছিনতাই এবং ডাকাতি প্রতিরোধে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ একদম স্ট্রং ব্যবস্থা নিয়েছে, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের কে প্রতিনিয়ত মনিটর করছে এবং আমাদেরকে ইন্সট্রাকশন (নির্দেশনা) দিয়ে যাচ্ছে এবং সেইভাবে আমাদের ডেপ্লয়মেন্ট (মোতায়েন) করা আছে।

প্রশাসনের তৎপরতায় ভোগান্তি ও সকল আশঙ্কা কাটিয়ে ঈদযাত্রা হবে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন এমনটাই প্রত্যাশা সাভারের সড়ক ব্যাবহারকারীদের।
 


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন