বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

সাতক্ষীরা সীমান্তে গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধে বিজিবির কঠোর নজরদারি

সাতক্ষীরা সীমান্তে গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধে বিজিবির কঠোর নজরদারি
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সীমান্তে গরু চোরাচালান এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে চামড়া পাচার রোধসহ যেকোন প্রকারের সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক এ বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী। বিজিবি সীমান্তে জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে সীমান্তে মাদকসহ সকল চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির মহাপরিচালক “জিরো টলারেন্স” নীতি বাস্তবায়নের নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)  সকল প্রকার চোরাচালান প্রতিরোধসহ যেকোন প্রকার সীমান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি আরও জানান, আগামী ০৭ জুন ২০২৫ তারিখ মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা পালিত হবে। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশীয় খামারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য, বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। একইভাবে কোরবানী পরবর্তী সময়ে কোরবানীর পশুর চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যেতে না পারে, সেজন্যও সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বিজিবি।

এছাড়াও, ঈদ-উল-আযহার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াত ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে।

সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক লোকজন পুশ-ইন শুরু করলে সাতক্ষীরা সীমান্তে ২/১ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও  সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) কর্তৃক বেআইনী ও সীমান্ত প্রটোকল বিরোধী প্রক্রিয়ায় ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লোকজন পুশ-ইন করা অবৈধ ও অগ্রহনযোগ্য বলে বিএসএফকে তীব্র/কড়া প্রতিবাদ জানানো হলে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ  আটককৃত যেকোন বাংলাদেশী নাগরিককে তার সমস্ত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রসহ পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে বিজিবি-এর নিকট হস্তান্তর করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। 

বর্তমানে সাতক্ষীরা সীমান্তে কোন প্রকারের পুশ ইন হচ্ছে না। প্রতিপক্ষ বিএসএফ থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের নাগরিকত্বের প্রমাণ, পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিপত্র প্রাপ্তির পর  স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদেরকে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গ্রহণ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক। 


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন