শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

লক্ষ্মীপুরে শেষ পর্যায়ে কোরবানির পশুর হাট, ক্রেতার ভিড়

লক্ষ্মীপুরে শেষ পর্যায়ে কোরবানির পশুর হাট, ক্রেতার ভিড়
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

লক্ষ্মীপুরে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পশুর হাটে ক্রেতা না থাকলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় ধীরে ধীরে ক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে। পশু ক্রয়ের ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতাদের। বাজারে কোরবানির পশুর সংখ্যা অনেক।  দরদাম করে পশু কিনে ফেলেছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।

সরেজমিনে লক্ষ্মীপুরের কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলার ৯৩টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে স্থায়ী ১৬টি ও অস্থায়ী ৭৭টি হাট রয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় জমে উঠছে কোরবানির হাট। প্রতিটি হাটে বিপুল সংখ্যক গরু উঠেছে। তবে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট গরু কিনছেন ক্রেতারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, কোরবানির জন্য জেলায় পশুর চাহিদা ৮৮ হাজার ২১৫টি হলেও এবার লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৩টি পশু, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ২৭০০ ছোট-বড় খামারে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিক্রেতারা জানান, এখন কোরবানির জন্য ভারত, মিয়ানমার ও ভুটান থেকে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে কোরবানির বাজার পুরোপুরি দেশীয় পশুনির্ভর রয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত বিদেশি গরু না এলে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন। এতে ভবিষ্যতে গরু পালনে খামারিরা আরও উৎসাহিত হবেন এবং লোকসানে পড়তে হবে না। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় পশুর দাম কিছুটা বেশি। পাশাপাশি অতিরিক্ত পশু থাকায় প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, ক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরু ও খাসির দাম আকারভেদে ১০-১৫ হাজার টাকা কম। এতে অনেকেই তাদের পছন্দের পশুটি কিনতে পারছেন।

বাজারভেদে গরুর দামে তারতম্য দেখা যাচ্ছে। শহরের হাটের তুলনায় গ্রামের হাটে দাম কিছুটা কম, তাই অনেকেই গ্রামের হাট থেকে গরু কিনে আনছেন। খামার থেকেও সরাসরি কোরবানির পশু কেনা যাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু এনে নির্মাণাধীন ভবন ও খোলা মাঠে রেখে বিক্রি করছেন। সেখান থেকেও পশু কিনছেন ক্রেতারা। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রি হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন, পশুর কোনো ঘাটতি নেই, পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু মজুত রয়েছে। প্রতিটি বাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বাজার মনিটর করছেন, যেন সবাই নিরাপদে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।

জেলা পুলিশ সুপার আকতার হোসেন বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় যেসব স্থানে পশুর হাট বসেছে, প্রতিটি হাটে পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, মানুষ যেন ঈদুল আজহা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে জাল টাকার বিস্তার ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বাজার মনিটর করছেন।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন