বৃষ্টি বাড়লেও স্বস্তি নেই, তাপপ্রবাহে নাকাল দেশবাসী


দেশজুড়ে কয়েকদিন ধরে অসহনীয় গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। একদিকে যেমন বৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে তার মাঝেও কমছে না তাপপ্রবাহের প্রকোপ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১১ জুন) দেশের ৪৯টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একদিন আগেও এ সংখ্যা ছিল ৩৬টি জেলা।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি স্থানে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। বর্তমানে নীলফামারী জেলাজুড়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে, যা কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে।
পরবর্তী দিনগুলোর পূর্বাভাস:
-
১৩ জুন (শুক্রবার): খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কিছু স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। এ সময় দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
-
১৪ জুন (শনিবার): রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাতও হতে পারে। তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না-ও হতে পারে।
-
১৫ জুন (রোববার): একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। অধিকাংশ বিভাগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের সার্বিক তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে এবং তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে স্বস্তি ফিরছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এন কে/বিএইচ
