দেবীগঞ্জে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার: নারীসহ ৫ জন গ্রেফতার


পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় মোকলেছার রহমান (৩৫) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় নারীসহ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—নিহতের চাচাতো বোন মোর্শেদা ইয়াসমিন (শিল্পী), তার স্বামী মজিবর শিকদার (গ্রাম: আলিশা, থানা: নড়িয়া, জেলা: শরীয়তপুর), ধনমন্ডল এলাকার ইলিয়াস হোসেন, আসাদুজ্জামান ও বাবুল মিয়া।
এর আগে (বৃহস্পতিবার) রাতে নিহতের বাবা শাহাবুদ্দিন দেবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে একটি বাগানের পাশে মোকলেছারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী।
নিহত মোকলেছার দণ্ডপাল ইউনিয়নের ধনমন্ডল ঢাকাইয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় খোচাবাড়ি বাজারে প্রসাধনীর দোকান চালাতেন। তিনি শাহাবুদ্দিনের একমাত্র সন্তান।
খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পরে র্যাব, সিআইডি, পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ করে। বিকাল ৪টায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত না হওয়ায় শুক্রবার তা সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিদের কয়েকজনের বক্তব্যে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার আভাস মিলেছে।
নিহতের বাবা শাহাবুদ্দিন বলেন, "বুধবার রাত ৯টার দিকে আমার ছেলে বাড়ি আসে এবং পাশের একটি বিয়েতে খাবার খায়। কিছুক্ষণ পর সে আবার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফেরেনি। ফজরের সময় পুত্রবধূ জানায়, সে এখনো ফেরেনি এবং তার ফোনও বন্ধ।" তিনি ধারণা করছেন, হত্যার সঙ্গে তার ছেলের পরিচিত কেউ জড়িত থাকতে পারে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোয়েল রানা বলেন, "ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি। সন্দেহভাজন পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করেছি। তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
