যমুনা সেতু পশ্চিমে ১৫ কিলোমিটার যানযট সৃষ্টি


যমুনা সেতু পশ্চিমে ১৫ কিলোমিটার যানযট সৃষ্টি
ঈদের ছুটি শেষ, রবিবারে চালু হচ্ছে সরকারি অফিস-আদালতসহ বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। শিকড় ছেড়ে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ। এতে মহাসড়কে বেড়েছে গণপরিবহন। এসেছে ঢাকা থেকে ফিটনেস বিহীন গাড়ি, ফলে সৃষ্টি হয়েছে গাড়ির ধীরগতি। যার ফলে ১৫ কিলোমিটারের বিশাল যানযটের ভোগান্তি।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম কড্ডার মোড় এলাকা ঘুরে ঢাকাগামী লেনে গাড়ির ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। হাটিকুমরুল রোড এলাকা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৫কিলোমিটার থেমে থেমে গণপরিবহন চলাচল করছে। এতে কিছুটা হলেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মস্থলে ফেরা মানুষদের।
কড্ডার মোড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা সোহেল শেখ বলেন, আজই ছুটির শেষদিন। এজন্য বাসের টিকিট কেটে পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছি। কিন্তু গাড়ির চাপ থাকায় সেতু পার হতে পারছি না।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৩৬৫টি ও ঢাকায় পৌঁছেছে ৩০ হাজার ৮১৭টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা।
এদিকে মাসুদ রানা নামক এক পরিবহন চালক বলছেন, সেতু কর্তৃপক্ষের টোল আদায়ের সঠিক গতি না থাকায় যানজটের দুর্ভোগ হচ্ছে।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঈদের ছুটির শেষ দিনে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ এই চাপ কমে যাবে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, সড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ির চাপ বাড়ার কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ি থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যেই চাপ কমবে।
দৈএনকে/জে,আ
