বামনায় লোহার পুল চুরি, নীরব প্রশাসন


বরগুনার বামনা উপজেলায় সরকারি লোহার পুল চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের তীর উঠেছে বামনা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিয়াদ চৌধুরীর দিকে। এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চুরির ঘটনায় কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর ওয়াটার পাস স্ট্রাকচার কালভার্ট নির্মাণের ঠিকাদারি কাজ শুরুর আগে পুরনো লোহার পুলটি রাতের আঁধারে ভেঙে বিক্রি করে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গোপনে চুরির মাধ্যমে এই কাজ করা হয়েছে।
চুরির ঘটনার পর তথ্য সংগ্রহে গেলে সিনিয়র সাংবাদিক জসিম মেহেদীকে ৩ জুন দলবল নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন রিয়াদ চৌধুরী। এ ঘটনায় বামনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-১০৫) করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী এ চুরির সত্যতা স্বীকার করে জানান, রিয়াদ চৌধুরী ফোনে দাবি করেছেন, এ বিষয়ে একটি জিডি হয়েছে। তবে প্রকৌশল দপ্তরে জিডির কোনো কপি জমা দেওয়া হয়নি এবং দাপ্তরিকভাবে কোনো ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে জানা গেছে, এই ঘটনার পর থেকে পুল চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নানা মহলে তদবির চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রিয়াদ চৌধুরী যুবদলের পদ ব্যবহার করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, এমনকি চেক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, “সরকার পতনের পর থেকে রিয়াদ রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। এখন তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।”
চুরি হওয়া সরকারি মালামাল উদ্ধার এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
