বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

"চিকিৎসা নয়, মিলছে গরমের যন্ত্রনা - সৈয়দপুর হাসপাতালে ফ্যান বিকল"

গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে সৈয়দপুর সহ গোটা উত্তরাঞ্চলের জনজীবন। হাসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে প্রাণীকূলে। সৈয়দপুর অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়ারসের উর্ধ্বে ওঠানামা করছে। এরই মধ্যে বেড়েই চলেছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তাই সেবা নিতে প্রতিদিনই সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে‌ ভিড় বাড়ছে মানুষদের। কিন্তু ফ্যান নষ্ট কারণে সেবা নিতে এসে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান ও সুইচ নষ্ট হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। উপরে সিলিং ফ্যান থাকলেও সেটিও নষ্ট সাম্প্রতকি সময়ের এই গরমে কাজ করছে না ফ্যান । ত্রুটি থাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বেশির ভাগই পাখা এতটাই আস্তে চলে যে বাতাস পাওয়া যায় না। রোগীদের কেউ কেউ নিজেদের কেনা ফ্যান এবং হাত পাখার মাধ্যমে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন। এছাড়াও হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের একাধিক ফ্যান ও সুইচ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।

হাসপাতালটির প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই একই অবস্থা। ফ্যানগুলো ঘুরছে কিন্তু গতি কম। অনেক দিন ধরে চলার কারণে অধিকাংশ ফ্যানেরই ক্যাপাসিটর নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ফ্যান গুলো থেকে কোনো বাতাসই পাচ্ছেন না রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ কারণে অসহ্য গরমের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন হাসপাতালের রোগীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা আক্ষেপ নিয়েই বলেন, প্রচণ্ড গরমে ফ্যানের বাতাস না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ‘ফ্যান না থাকায় রোগীদের পাশাপাশি তাদের স্বজনরাও কষ্ট পাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছেন অনেকে।

রফিকুল ইসলাম নামে এক রোগী মা  বলেন এখানকার ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে তাই বাধ্য হয়ে তারা বাসা থেকে ছোট টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছেন। রাতে ঘুমানোর আগে বেডের পাশে রেখে যান। আবার সকালে এসে চার্জ করতে বাসায় নিয়ে যান বলেও জানান রোগিরা।

সিদ্দিকা নামের এক রোগী বলেন, এখানে ১২ টি ফ্যান আছে তার মধ্যে ৭ টি অচল বাকি ফ্যানগুলো ঘুরছে তবে সে ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগছে না। ভালোভাবে ফ্যান না চলার কারণে ভর্তি হওয়ার পর বাসা থেকে ফ্যান নিয়ে আসি। এত গরমে এখানে থাকা সম্ভব নয়। ফ্যানগুলোতে বাতাস না থাকায় পুরো ওয়ার্ড গরম হয়ে ওঠে।

তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক ফ্যান, লাইট ও সুইচ নষ্টের কথা শিকার করে এ ব্যাপারে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডা. মোঃ নাজমুল হুদা জানান, হঠাৎ করে বিরুপ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে অসাবধানতার কারণে মানুষের মাঝে পেটের পীড়াসহ পানি জনিত নানা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে প্রতিটি ওয়ার্ডেরই ফ্যান ও লাইট ২৪ ঘন্টাই ব্যাবহার করা হচ্ছে এ জন্য দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। যে গুলো নষ্ট হচ্ছে আমরা কতৃপক্ষকে জানিয়ে সেগুলো ঠিক করছি ।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ হোসেন জানান, ঈদের ছুটি থাকায় অধিকাংশ ফ্যান ঠিক করা সম্ভব হয়নি আজ এরই মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি ফ্যান ঠিক করেছি এবং নতুন করে চারটি লাগিয়েছি। আরও কিছু ফ্যানের বাজেট দিয়েছি আশাকরি দ্রুত সে গুলোও পেয়ে যাব।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন