বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

কটিয়াদীতে কলেজ ছাত্র হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানবন্ধন

কটিয়াদীতে কলেজ ছাত্র হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে মানবন্ধন
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

কটিয়াদীতে কলেজ ছাত্র জিদনী  হত্যায় জড়িতদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে কটিয়াদীতে  বিক্ষোভ মিছিল ও  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। স্বজনদের অভিযোগ, মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না।


রবিবার  (১৫ জুন ) দুপুরে  কটিয়াদী উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে  ঘণ্টাব্যাপী  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 
মানববন্ধন চলাকালে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, জিদনী হত্যার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার অভিযুক্ত চিহ্নিত আসামিদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। যদিও ঘটনার পর দিন নিহত  জিদনির বড় বোন ময়না আক্তার  বাদী হয়ে ফয়সাল সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ আরোও  অজ্ঞাত ১০/১২জনের  বিরুদ্ধে কটিয়াদী  থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায়  এনে  ফাঁসির  দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন স্বজন ও এলাকাবাসী।


উল্লেখ্য, গত বুধবার  (০৪ জুন ) পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রবাসীর ছোট ভাই কটিয়াদী সরকারি কলেজের ছাত্র এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. জিদনী মিয়াকে (১৮) প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ( ০৫ জুন) সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত জিদনি পৌর এলাকার ভরারদিয়া গ্রামের মৃত ধলু মিয়ার ছোট ছেলে।


নিহতের পরিবারের দাবি, ০৪ জুন (বুধবার) দিবাগত রাতে জিদনী তার বাড়ির পাশে আল্লাদু পাগলার আস্তানার পাশে চায়ের দোকানে বসে চা পান করার সময় ফয়সালের সঙ্গী তাকে চায়ের দোকান থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফয়সাল কতক সঙ্গী নিয়ে অপেক্ষা করে। জিদনী সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে দুর্বত্তরা পালিয়ে যায়। জিদনীকে উদ্ধার করে প্রথমে বাজিতপুর বেসরকারী হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে পুনরায় বাজিতপুর বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন ময়না আক্তার   বাদী হয়ে  ফয়সালসহ ৯ জনকে এজাহার নামীয় এবং ১০/১২ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে একটি মামলা  দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন