চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চালক আটক


সিলেট থেকে নবীগঞ্জ ফেরার সময় চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাসচালক সাব্বির মিয়াকে (২৭) আটক করেছে এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযুক্ত বাসচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা ও ঢাকার ফার্মগেটের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের একটি বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়।
সিলেটে পৌঁছার পর ঘুম ভাঙলে ওই কিশোরী নবীগঞ্জ হয়ে আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে সিলেট-নবীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি বিভিন্ন স্টপেজ থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানোয় ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে পড়ে। শেরপুর এলাকায় পৌঁছার পর অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে ওই কিশোরী একা হয়ে পড়েন।
এরপর চলন্ত অবস্থায় বাসের হেলপার লিটন মিয়া ও পরে চালক সাব্বির মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছালে কিশোরী জোরে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ছালামতপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের গতিরোধ করে বাসচালক সাব্বির মিয়াকে আটক ও ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
তবে অভিযুক্ত হেলপার লিটন মিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বাস থেকে পালিয়ে যায়, এখনও পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাসচালককে আটক করেছে এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে। আটক ব্যক্তির পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
