শেয়ারবাজারে বড় ধস, ২৭৬ কোম্পানির দরপতন


দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় দরপতনের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ জুন) লেনদেন শেষ হয়েছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যাওয়ায় সবকটি মূল্যসূচক নিম্নমুখী হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় কমেছে ১০৩ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক marginal বৃদ্ধির মধ্যেও বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে বাজারে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও সোমবার বড় উত্থান দেখা দেয়। তবে মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়লেও দুপুর ১২টার পর বাজারে নেতিবাচক ধারা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
দিন শেষে ডিএসইতে ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে ২৭৬টির কমেছে এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। ডিএসইএক্স সূচক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪,৭৩৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১,০৩৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে নেমেছে ১,৭৭০ পয়েন্টে।
লেনদেনের পরিমাণও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এদিন ডিএসইতে ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের তুলনায় ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল লাভেলো আইসক্রিম, যার ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরপর রয়েছে বিচ হ্যাচারি (১১.১০ কোটি টাকা) এবং অগ্নি সিস্টেমস (৮.৩১ কোটি টাকা)।
অন্যান্য শীর্ষ কোম্পানির মধ্যে ছিল: বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট ও সিলকো ফার্মা।
অন্যদিকে, সিএসইতে সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ০.০৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের অবস্থানে। লেনদেন অংশগ্রহণকারী ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে, ৯৬টির কমেছে এবং ২৬টির অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।
