কোতোয়ালী থানা লুটে জড়িত ভ্যানচালক রনি আটক
.png)

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় ভাঙচুর করে অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. রুবেল ওরফে রনি (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে থানার লুট হওয়া একটি বিদেশি পিস্তল এবং দুটি করে ম্যাগাজিন, গুলি।
পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যানচালক। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট তিনি অস্ত্র লুটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। যা তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন। গ্রেপ্তার রুবেল চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার মিঠাচর গ্রামের ঠাকুরদিঘী বাজার এলাকার মো. নুরুদ্দিনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধায় নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন নগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আলমগীর হোসেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল দিবাগত রাতে আমরা একটা তথ্য পাই যে, থানা হতে অস্ত্র লুটের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন লোক পতেঙ্গা থানা এলাকায় আছে। সেখান থেকে এই রুবেলকে আমরা গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে কোতোয়ালী থানাধীন মেরিন ড্রাইভ রোডের সামনে লট্ট্যাইয়াঘাটা এলাকা থেকে তার দেখানোমতে একটি অস্ত্র উদ্ধার করি। যেটি একটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল।’
ডিসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অস্ত্রে থাকা নম্বর মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত হই যে, এটি ৫ই আগস্ট কোতোয়ালী থানা থেকে লুটকৃত পিস্তল। সেইসময় অস্ত্র লুটের ঘটনায় হওয়া মামলায় তাকে আমরা গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। একইসাথে দুই রাউন্ড গুলি এবং দুটি ম্যাগাজিনও উদ্ধার করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা কোতোয়ালী থানা হতে অস্ত্র লুট ও উদ্ধারের পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার রুবেলের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। সে অসৎ উদ্দেশ্যেই অস্ত্র লুট করেছিল। আর কোতোয়ালী থানাসহ বিভিন্ন থানা হতে লুট করা অস্ত্রগুলো উদ্ধারে আমাদের তৎপরতা চলমান আছে।’
উদ্ধার করা অস্ত্র এখনো ব্যবহার করা হয়নি জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘এটি লুকিয়ে রাখা ছিল। আর লুটপাটের দিন সে ছিল—স্বীকারও করেছে আমাদের কাছে। ওই সময় যে পরিস্থিতি ছিল, সেই সময় বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে অস্ত্রগুলো লুট করেছিল।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এরপর চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিজয় মিছিলের সময় থানাগুলোয় লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র লুট করা হয়। ওই সময় চট্টগ্রামের ১২টি থানায় আগুন দেওয়ার পাশাপাশি লুটপাটও করা হয়।
