নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ চরমে


নোয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা টানা বৃষ্টিতে আবারও পানিতে ডুবে গেছে। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিপাতে শহরের প্রধান ও উপসড়ক, আবাসিক ও ব্যবসায়িক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ বহু স্থানে জমেছে হাঁটুপানি। দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, রোগী ও সাধারণ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন, ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের কেন্দ্রস্থল পৌর বাজার, আল ফারুক স্কুল রোড, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা নিত্যদিনের চিত্র। তবে সমস্যার সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ। পর্যাপ্ত এবং সক্রিয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা তাদের।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, আগামীতেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে নোয়াখালী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক জালাল উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি, ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ জানান, “আমি ঢাকায় আছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনেছি। আল ফারুক স্কুলের আশপাশের পুকুরগুলো কানায় কানায় পূর্ণ থাকায় পানি সড়কে উঠে এসেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি, তবে জনগণেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।”
