সিরাজগঞ্জ শহরের ব্যস্ত রাস্তাঘাটে কৃষ্ণচূড়ার আগুনরাঙা রঙ


সিরাজগঞ্জ শহরের ব্যস্ত রাস্তাঘাটে এখন ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার আগুনরাঙা রঙ। শহরের বিভিন্ন সড়ক, বিশেষ করে কালেক্টর চত্বর, সিরাজগঞ্জ হার্ট পয়েন্ট এলাকা, ক্রসবার-৩, এখন এক অনন্য প্রাকৃতিক শোভায় সেজে উঠেছে।
এই কৃষ্ণচূড়ার ফুলের মাধুর্যে রীতিমতো মোহিত হয়ে পড়েছেন পথচারীরা। গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যেও প্রকৃতির এই রঙিন ছোঁয়ায় যেন কিছুটা প্রশান্তি খুঁজে পাচ্ছেন তারা।
সকালে অফিসগামী বা বিকেলে হাঁটতে বের হওয়া মানুষেরা থমকে দাঁড়াচ্ছেন কৃষ্ণচূড়ার নিচে, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ দাঁড়িয়ে প্রশংসা করছেন এই দৃশ্যের। অনেকে বলছেন, এই ব্যস্ত শহরের ভিড়েও কৃষ্ণচূড়ার মত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনে শান্তি এনে দেয়।
পথচারী কলেজছাত্রী রাফিয়া ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাই। কিন্তু কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার পর পুরো পরিবেশটাই বদলে গেছে। মনটাই ভালো হয়ে যায়।
একই মত প্রকাশ করেন মোটরসাইকেল চালক আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, এই ফুলগুলো শুধু রাস্তার সৌন্দর্যই বাড়ায়নি, আমাদের শহরের চেহারাও বদলে দিয়েছে। শহর যেন এখন আরেকটু প্রাণবন্ত।
এই প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে মো. মতলুবুর রহমান বলেন, প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে যা আমাদের শহরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, বরং জনসচেতনতাও তৈরি করে। আমরা নাগরিকদের অনুরোধ করব এমন গাছের সংরক্ষণে সবাই যেন সচেতন থাকেন।
তিনি আরো জানান, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আরো গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আগামী বছরগুলোতে এই দৃশ্য আরো বিস্তৃত হয়।
শহরের প্রবীণ নাগরিক নুরুল ইসলাম বলেন, আগে এমন দৃশ্য কমই দেখা যেত। কিন্তু এখন চারদিকে ফুল ফোটে। মনে হয় শহর আবার বাঁচছে।
ফুলের মৌসুম চলবে আরো কিছুদিন। এই সময়টা শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করার মোক্ষম সুযোগ। পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে নাগরিকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিরাজগঞ্জ কালেক্টর চত্বর এলাকায় ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত পথচারীরা
দৈএনকে/জে .আ
