বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

রপ্তানিতে গতি আনতে চট্টগ্রামে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু

রপ্তানিতে গতি আনতে চট্টগ্রামে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সব জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গার্মেন্টস পণ্য পরিবহনের কার্গো সার্ভিস চালু হচ্ছে আগামী জুলাই থেকে। প্রথম পর্যায়ে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়েছে। ইউরোপগামী পণ্য যাবে উজবেকিস্তান হয়ে, আর অন্য রুটে পণ্য যাবে চীনের মধ্য দিয়ে।

ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার পর এই বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় রফতানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ‘আর-এ-থ্রি জোন’ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

শাহ আমানত বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘ইউরোপে কার্গো ফ্লাইট অপারেশন টার্গেট করে যেসব সুবিধা প্রয়োজন, সেগুলোর প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।’

 চট্টগ্রাম ইপিজেড ও কোরিয়ান ইপিজেডের বড় একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দুটি কার্গো বিমান পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর জানান, ‘আর-এ-থ্রি জোন সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উজবেকিস্তান ও চীন হয়ে পণ্য ইউরোপে পৌঁছাবে।’

 চট্টগ্রামে আড়াইশ’র বেশি গার্মেন্টস কারখানা ও দুটি ইপিজেড থাকলেও এখন পর্যন্ত জরুরি এয়ার শিপমেন্টের জন্য রাজধানী ঢাকা ছিল ভরসা। নতুন এই কার্গো সার্ভিস রফতানিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে ব্যবসায়ীদের সময় ও খরচ কমবে। ঢাকার ওপর চাপও হ্রাস পাবে।’

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে এখনো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি না হলেও যাত্রীবাহী বিমানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণে সবজি রফতানি হচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৩২ হাজার কেজি পণ্য রফতানি হয়েছে এবং ২০২৪ সালে মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ ১২ হাজার কেজি। যেখান থেকে আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গার্মেন্টসের পাশাপাশি যদি যথাযথ অবকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তবে এই বিমানবন্দর মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে সবজি ও ফলমূল রফতানির নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে এয়ার এমিরেটস ও ইত্তেহাদ কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করলেও কোভিড লকডাউনের সময় ২০২১ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এবার ফের এই উদ্যোগে চট্টগ্রাম রফতানি বাণিজ্যে নতুন গতি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

আরও পড়ুন